ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুই মন্ত্রণালয়ের রশি টানাটানিতে হচ্ছে না বেড়িবাঁধ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৪ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই মন্ত্রণালয়ের রশি টানাটানিতে হচ্ছে না বেড়িবাঁধ

দুই মন্ত্রণালয়ের মধ‌্যে চিঠি চালাচালিতেই আটকে আছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ। বিধ্বস্ত হওয়ার ১২ বছরেও হচ্ছে না নতুন বেড়িবাঁধ। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় লালুয়া ইউনিয়নের সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে বাঁধটি মেরামত করা হয়। তবে রাবনাবাদ নদীর করাল গ্রাসে পুরো বাঁধটিই ধীরে ধীরে ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। ২০১৫ সালে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। আবারও ভেঙে যায় বাঁধটি। পরে এ বেড়িবাঁধের বিষয়ে নৌ পরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কয়েকবার চিঠি চালাচালি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়লেই প্রতিনিয়ত ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গত শনি ও রোববারের দুই দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে এ ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম। অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এখানকার মানুষের। ভেঙে গেছে বেশকিছু বাড়ি-ঘর। প্রলয়ঙ্কারী সিড়রের পরে যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে প্রত্যেক বারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এ এলাকার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এমন ভয়াবহ অবস্থা চলতে থাকলেও বেড়িবাঁধ সংস্কার করার উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস বলেন, পানিসম্পদ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের রশি টানাটানিতে বাঁধটি হচ্ছে না। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি উঠছে আর নামছে। এতে মানুষের ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। দ্রুত বাঁধটা নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওলিউজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেরিবাঁধ এলাকায় অধিগ্রহণ করা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সাধারণ মানুষের যে জমি আছে সেগুলো পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করেছে। তাই, বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ড জমি বুঝিয়ে দেয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কাজ চলছে।


পটুয়াখালী/মো. ইমরান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়