বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তিনি সাবেক ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং বিভিন্ন তথ‌্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।

পরে বিশ্ববিদ‌্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদেরকে একটি করে ফরম দেন দুদকের পরিচালক। ওই ফরমে সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো তথ্য থাকলে লিখিতভাবে সেগুলো জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, সাবেক ভিসির আমলে যেসব নির্মাণকাজ হয়েছে সেসব বিষয়েও অনুসন্ধান করেন শেখ মো. ফানাফিল্যা। আগামীকাল বুধবারও তদন্ত করবেন তিনি।

এদিকে, সাবেক উপাচার্য নাসিরউদ্দিনের সময়কালে হওয়া বিভিন্ন নির্মাণকাজের বিষয়ে অনুসন্ধানে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে তদন্তকাজে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. শাহজাহানকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় জানানো হয়েছে, ১০৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প রিভাইজ করে ২৫৬ কোটি হয়েছে। উক্ত প্রকল্পে কী কী কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে তার তালিকা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাবলী, সাবেক উপাচার্য নাসিরউদ্দিনের সময়কালে নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, খুলনা শিপইয়ার্ড ও নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডকে প্রদত্ত কার্যাদেশ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও কাগজপত্র এবং সিএসই বিভাগের শিক্ষক মো. আক্কাস আলীর ব্যক্তিগত নথি বিষয়ে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের টানা ১২ দিনের আন্দোলনের মুখে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন গত ৩০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন।

গোপালগঞ্জ/বাদল সাহা/রফিক