ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বায়োগ্যাসে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামের চিত্র

শেখ মোহাম্মদ রতন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বায়োগ্যাসে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামের চিত্র

বাংলাদেশের ৬৬টি উপজেলায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ৩৭৭টি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে গ্রামীণ জনপদের জীবনযাত্রায় এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। বায়োগ্যাস প্লান্ট একদিকে যেমন রান্নায় জ্বালানি কাঠের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দূষণমুক্ত পরিবেশ ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তেমনি প্লান্ট থেকে প্রাপ্ত বর্জ্য জৈব সার হিসেবে কাজ করছে। এই সার জমিতে ছিটালে জমি উর্বর হয়ে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বায়োগ্যাসের কল্যাণে রান্নার কাজে গৃহিণীরা থাকছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকি মুক্ত। সেই সাথে প্লান্ট স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী ঝুঁকছেন ডেইরি ও পোলট্রি খামারের দিকে।

সিরাজদিখান উপজেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ‘ইমপ্যাক্ট’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে ২০১৪-১৫ সাল অর্থবছরে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন শুরু হয়। প্রথম বছরে ১০টি পরিবার প্লান্ট পায়। পর্যায়ক্রমে প্লান্টের ব্যবহার বাড়তে থাকে। প্রতিটি প্লান্ট হতে তিন থেকে পাঁচটি পরিবার সংযোগ নিতে পারবে।

বাড়িতে তিনটি দেশি বা একটি বিদেশি গরু থাকলেই যে কেউ বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে পারেন। এছাড়া পোলট্রি খামারের মুরগির বর্জ্য থেকেও প্লান্ট স্থাপন করা যায়।

এই প্লান্ট স্থাপনের জন্য বিনামূল্যে কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি প্রতি প্লান্ট স্থাপনে পাঁচ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়। সেই সাথে সহজ শর্তে ৪০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা আছে বলে সিরাজদিখান উপজেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়।

 

 

বায়োগ্যাস প্লান্টের উপকার পেয়েছেন এমন একজন নারী লতব্দী ইউনিয়নের দক্ষিন লতব্দী গ্রামের শিলা ঘোষ (২৬) রাইজিংবিডিকে জানান, তিনি গরুর খামারের বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করেছেন। যা থেকে নিজে গ্যাস ব্যবহার করছেন এবং আরো চারটি পরিবারে সংযোগ দিয়েছেন।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ডলি রাণী নাগ বলেন, সারাদেশে ৬৬টি উপজেলায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় ৩৭৭টি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন হয়েছে। নারী পুরুষ ৪৩৫ জনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্লান্ট স্থাপন করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। একটি ছোট পরিবারের রান্নার জন্য একটি ছোট প্লান্ট যথেষ্ট। এতে ওই পরিবারের জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি গৃহিণীর শরীরও ভালো থাকে। 


মুন্সীগঞ্জ/রতন/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়