ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হাঁস ফিরিয়ে দিয়েছে হাসি

আরিফুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাঁস ফিরিয়ে দিয়েছে হাসি

মকবুল হোসেনের সংসারে অভাব দূর হচ্ছিল না কিছুতেই। মুখের হাসি উধাও হয়েছিল আর্থিক অনটনে। অবশেষে এক উদ‌্যোগ পাল্টে দিয়েছে জীবন। হাঁসের খামার করে এখন স্বাবলম্বী তিনি। হাঁস ফিরিয়ে দিয়েছে হাসি।

পাঁচ বছর আগে ২৫০টি হাঁস নিয়ে খামার গড়ে তোলেন মকবুল হোসেন। এর এক বছর পর হয় সফলতার সূচনা। এখন তিনি সফল খামারি।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিল দেশের বৃহত্তম বিল। চলনবিলের খোলা জলাশয়ে হাঁস পালন করে সচ্ছল হয়েছেন মকবুল হোসেন। তার সাফল‌্য দেখে ওই এলাকার অনেক বেকার যুবক এখন হাঁস পালন করছেন।

উপজেলা সদর থেকে পূর্ব দিকে ছয় কিলোমিটার পথ পেরিয়ে গেলে দেখা যায় বিশাল চলনবিল। উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের খামারি মকবুল হোসেন ছাড়াও সেখানে রয়েছে অনেকের হাঁসের খামার।

মকবুল হোসেন জানান, পাঁচ বছর আগে অন্যের জমিতে কাজ করতে হতো। বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করেছেন তিনি। স্থানীয় এক সফল খামারির পরামর্শে ২৫০টি হাঁসের বাচ্চা কিনে শুরু করেন খামার। এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন রোগে কিছু হাঁস মারা যায়। তবে অন‌্য হাঁসগুলো ডিম দেয়া শুরু করে। বাড়ির পাশে চলনবিলে ছোট মাছ ও শামুক খায় হাঁসগুলো। তাই বাড়তি খাবার দিতে হয় না। হাঁসের ডিম বিক্রি করে বেশ ভালো আয় হয়। তিন বছর পর জমানো টাকা দিয়ে আরো ২৫০টি হাঁস কেনেন মকবুল হোসেন। বর্তমানে তার খামারে ৫০০টি হাঁস আছে। প্রতিদিন গড়ে ৪৫০টি হাঁস ডিম দেয়, যার বাজারমূল্য সাড়ে ৫ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে লাভ হয় লক্ষাধিক টাকা।

বেকার যুবকদের উদ্দেশে মকবুল হোসেন বলেন, যারা বেকার আছেন, তারা যেন হাঁস পালন শুরু করেন। একসময় অবশ্যই স্বাবলম্বী হবেন তারা।

গুরুদাসপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, গুরুদাসপুর উপজেলায় অনেক হাঁসের খামার আছে। এসব খামারে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা, টিকা ও পরামর্শ দেয়া হয়।

 

নাটোর/আরিফুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়