আগুনে ২২ দোকান পুড়ে ছাই

বাগেরহাটের শরণখোলার চালিতাবুনিয়া বাজারে আগুনে ২২ দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে।

এতে অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই বাজারে এই আগুন লাগে।

পরে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ২২ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

আগুন লাগার খবর পেয়ে সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন এবং রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের পাশে থাকার আশা ব্যক্ত করেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলোর মধ্যে দর্জি কাপড়, রেডিমেড পোশাক, মুদি, ইলেক্ট্রনিক্স পণ‌্যসামগ্রী, মোবাইল রিচার্জ ও চায়ের দোকান রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক জামাল হোসেন মুন্সি বলেন, ‘যখন আগুন লাগে তখন বিদ্যুৎ ছিল না বাজারে। আমার ধারণা, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এই আগুনে আমাদের ৫০ লাখ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে।’

দোকান মালিক আব্বাস তালুকদার বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘রাতে আগুনের খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি দোকানে থাকা কাপড় অন্যত্র সরিয়ে নেই। কিন্তু দোকান ঘর ও সেলাই মেশিন রক্ষা করতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস না আসলে বাজারের সকল দোকান পুড়ে যেতো।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর খলিফা বলেন, ‘আগুনে চালিতাবুনিয়া বাজারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মেশফাকুল আলম বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সমন্বয়ে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ধারণা করছি শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিস খুলনার উপ-পরিচালক আকরাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

 

টুটুল/বুলাকী