শান্ত কিশোরগঞ্জ!
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা বাংলাদেশেও তার থাবা বসিয়েছে। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৪ জন। দেশে যখন পরিস্থিতি এমন, তখন সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন এলাকা ইতোমধ্যে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে। জনসচেতনতার স্বার্থে মাঠে নামানো হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীকেও। আর এর প্রভাব পড়েছে কিশোরগঞ্জেও।
বুধবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাত থেকেই এই জেলা শহরে নেমে এসেছে নীরবতা। পুরো শহর হয়ে পড়েছে শান্ত। সড়ক-পথঘাট-অলিগলির কোথাও মানুষের কোলাহল নেই। নেই আড্ডা, সমাবেশ। না, কোনো ভয়-আতঙ্কে নয়, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগেই শহরে এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কিশোরগঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, ক্লিনিক ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দোকানিরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছেন। আর ওষুধের দোকানের সামনে লাল ফিতা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো দোকানের সামনের গ্রিল দেওয়া।
কিছুটা দূরে দূরে দুয়েকটা রিকশা চোখে পড়েছে। আবার কোথাও কোথাও বন্ধ দোকানের সামনেও ঝুলছে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা। তবে, কোথাও কোলাহল নেই। মোড়ে মোড়ে রাখা হাত ধোয়ার বেসিনগুলোর আশেপাশেও কেউ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিদ্দিক হোসাইন প্রতিদিনের মতোই মাস্ক পরে বাজারে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আমাদের সবারই সচেষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা যদি নিজেরা সচেতন না হই, তাহলে আমরা তো বাঁচবোই না, দেশও বাঁচবে না।’
এই বিষয়ে জানতে চাইরে শহরের আখড়াবাজার মোড়ের ওষধ ব্যবসায়ী মারুফ মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাত থেকেই ধীরে ধীরে শহর নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এ জন্য কোনো আইন প্রয়োগ করতে হয়নি।’ বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মানুষ নিজে থেকেই সচেতন হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুম্মন/এনই
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন