ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে খোলা হচ্ছে পোশাক কারখানা, ঝুঁকিতে ৮ লাখ শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ৪ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নারায়ণগঞ্জে খোলা হচ্ছে পোশাক কারখানা, ঝুঁকিতে ৮ লাখ শ্রমিক

পোশাক কারখানা (ফাইল ফটো)

নারায়ণগঞ্জে রোববার (৫ এপ্রিল) খুলবে বিভিন্ন রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা। এ জেলায় সহস্রাধিক কারখানায় প্রায় আট লাখ শ্রমিক কাজ করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কর্মস্থলে যোগ দিতে নারায়ণগঞ্জে আসছেন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় যখন জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তখন পোশাক কারখানা চালু করা হলে তা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করছেন সচেতন মহল।

তবে এ বিষয়ে পোশাক শিল্পমালিকরা বলছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে পারবে, তারাই প্রতিষ্ঠান চালু রাখবে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের দুই থেকে তিন মাসের বেতন বকেয়া আছে। শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে।

শ্রমিকরা বলছেন, কারখানা বন্ধ করার আগে তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বলেছে, কারখানা এপ্রিল মাসের ৭-৮ তারিখে বেতন পরিশোধ করা হবে। কাজে যোগ না দিলে যদি বেতন না দেয় বা ছাঁটাই করে, এই ভয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন তারা।

বিকেএমএই ও বিজিএমইর আওতাভুক্ত কারখানার মালিকরা নোটিশ দিয়ে গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে কারখানা বন্ধ রাখার কথা বলে। সে অনুযায়ী আমামীকাল ৫ এপ্রিল কারখানা খোলা হচ্ছে।

বিকেএমইএর পরিচালক মুনসুর আহমেদ বলেন, গত ২৯ মার্চের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫ তারিখ থেকে গার্মেন্টস খোলা হচ্ছে। তবে এ সময়ে গার্মেন্টস খোলা রাখার পক্ষে আমি নই। আরো ১০ দিন গার্মেন্টস বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কারণ, করনোভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করছে। তাই, সবার সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস খোলা রেখে শ্রমিকদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করলাম, কিন্তু কোনো শ্রমিক যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে কাজে আসেন, সেটি কীভাবে সামাল দেব?

এ ব্যাপারে বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি জানান, বিকেএমইএ জরুরি সভা করে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছিল। সে সময় আমার নোটিশে বলেছি, ৪ এপ্রিলের পর যেসব গার্মেন্টস শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে না, তাদেরকে গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, অনেক গার্মেন্টসে মার্চ মাসের বেতন বকেয়া আছে। শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন দেওয়ার জন্যই সাময়িকভাবে গার্মেন্টস খোলা হচ্ছে। শ্রমিকদেরও তো খেয়ে বাঁচতে হবে।


নারায়ণগঞ্জ/রাকিব/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়