২০-এ আটকা চার পেসার
শেষ হাসিটা হাসলেন কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমানই।
বিপিএলের সেরা বোলার হয়ে বাঁহাতি পেসারই থাকলেন শীর্ষে। ফাইনালের মঞ্চে না থেকেও মুস্তাফিজ ছিলেন আলোচনায়। তাকে কেউ কি টপকে যেতে পারবেন? সুযোগ ছিল মোহাম্মদ আমির, রবি ফ্রাইলিঙ্ক ও শহীদুল ইসলামের। কিন্তু তারা কেউ-ই বড় মঞ্চে বড় কিছু করে দেখাতে পারেননি। ফলে টপকাতে পারেনি মুস্তাফিজকে।
তবে ২০-এ আটকে গেছেন সব পেসার। গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি মুস্তাফিজুর রহমানের দল রংপুর রেঞ্জার্স। ১২ ম্যাচে এ পেসার পেয়েছেন ২০ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট মোহাম্মদ আমির, রুবেল হোসেন ও রবি ফ্রাইলিঙ্কের। কিন্তু ইকোনমি রেট ও রান বেশি খরচ করায় তারা তিনজন মুস্তাফিজের থেকে পিছিয়ে পড়েছে। ১২ ম্যাচে ৪৪.৩ ওভারে ৩১২ রানে ২০ উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। ইকোনমি রেট ৭.০১।
ফাইনালে আমিরের পকেটে গেছে ২ উইকেট। ফাইনালের পারফরম্যান্স মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে আমিরের উইকেট ২০। ইকোনমি রেট ৭.০৫। ৫০.২ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৫৫টি। সমান ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের রুবেল হোসেন ৪৮.৫ ওভার বোলিং করেছেন। ৭.৩১ ইকোনমি রেটে উইকেট নিয়েছেন ২০টি। খুলনা টাইগার্সের পেসার রবি ফ্রাইলিঙ্ক ১৪ ম্যাচে ৫৩ ওভার বোলিং করেছেন। ৩৯২ রানে নিয়েছেন ২০ উইকেট। ইকোনমি রেট ৭.৩৯।
খুলনা টাইগার্সের আরেক পেসার পুরো বিপিএলে চমক দেখিয়েছেন। গোটা বিপিএলেই ডানহাতি পেসার খুলনাকে ভাসিয়েছেন উচ্ছ্বাসে। ১৩ ম্যাচে ৪৯ ওভারে ৩৯৬ রান দিয়েছেন শহীদুল। ৮.০৮ ইকোনমি রেটে উইকেট নিয়েছেন ১৯টি।
পুরো বিপিএল জুড়েই ছিল পেসারদের দাপট। টপ সিক্সে সবাই পেসার। সেরা পাঁচের পর ছয় নম্বর পজিশনে রয়েছেন চমক দেখানো মেহেদী হাসান রানা। দীর্ঘ সময় উইকেট সংখ্যায় সবার শীর্ষে থাকা এ পেসার ১৯ উইকেট পেয়েছেন। খেলেছেন মাত্র ১০ ম্যাচ।
স্পিনারদের মধ্যে সবথেকে বেশি উইকেট পেয়েছেন মুজিব-উর-রহমান। আফগানিস্তানের এ স্পিনার এবার বিপিএল খেলেছেন কুমিল্লার হয়ে। ১২ ম্যাচে ১৫ উইকেট পেয়েছেন মুজিব। স্থানীয় স্পিনারদের মধ্যে সবথেকে বেশি উইকেট ঢাকা প্লাটুনের মাহেদী হাসানের। ১৩ ম্যাচে ১২ উইকেট পেয়েছেন মাহেদী।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন