ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সুমি আজ সীমানা ছাড়িয়ে

আসিফ ইকবাল সুমন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ৬ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সুমি আজ সীমানা ছাড়িয়ে

বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে তরুণরাই তুলে ধরছে। শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তরুণদের অবদান অবিস্মরণীয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের প্রমাণ দিয়ে আসছেন। কোনো ভৌগোলিক পরিসীমা এই স্বপ্নবাজদের দমিয়ে রাখতে পারেনি এবং পারবে না আগামীতেও। এমনই একজন স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন দিশারীর নাম সাহেলা সারমিন সুমি।

নিতান্ত এক গ্রাম থেকে উঠে আসা এই স্বপ্নবাজ সুমি আজ সীমান্ত ছাড়িয়ে। সম্প্রতি পেয়েছেন ‘সাউথ এশিয়ান ইউথ লিডারশিপ অ‌্যাওয়ার্ড’। সুমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শিক্ষা জীবনেই তার ছিল বিশ্বজয়ের অদম্য স্পৃহা। সেই থেকেই বিভিন্ন কারিকুলামের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া আর নিজেকে দিনের পর দিন তৈরি করা।

ডিবেট, কবিতা আবৃত্তি, গান, নাচ, বক্তৃতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছিল তার একক আধিপত্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে শুরু করেন প্রোগ্রামিং রিলেটেড কার্যক্রম ‘প্রোগ্রামিং আড্ডা’। যেটি আইটিতে উৎসুক শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রোগ্রামিং শিক্ষার এক অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ফলে, পরবর্তী সময়ে ‘অ্যান্ড্রয়েড স্টাডি জেম ২০১৬’-এ ফার্স্ট রানার্সআপ হয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন। বলতে হয়, তিনি ২০১৬ সাল থেকেই ‘উইমেন ইন ডিজিটাল’-এ ডিভিশনাল লিডার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এই ধারাবাহিতায় ২০১৬ সালে ‘BYLC Youth Leadership prize’ এবং ২০১৭ সালে ‘সোশ্যাল বিজনেস ইয়ুথ চ্যাম্পে’ চ্যাম্পিয়ন হোন। পরবর্তী সময়ে গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের কথা ভেবে ছোট ভাই সুমনকে নিয়ে শুরু করেন নতুন যাত্রা। বলতে হয়, সুমন নিজেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তাদের যৌথ প্রয়াসে মূলত ‘স্কুল ফর ড্রিমার্স’র পথচলা। যেখানে নাটোর জেলায় তিনটি শাখায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে আইটিতে ট্রেনিং পরিচালিত হচ্ছে।

তাঁদের কাজের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা-অগ্রগতি এবং ইতোপূর্বের কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সুমি ‘সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ লিডারশিপ অ‌্যাওয়ার্ড ২০১৯’-এ মনোনীত হন।

সাহেলা সারমিন সুমি বলেন, ‘এ অর্জন আমাকে দায়বদ্ধ করেছে এবং বাংলাদেশের ইয়ুথদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে’।

হ্যা, একজন নারী হয়ে নিতান্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে বিশ্বদরবারে স্বদেশকে তুলে ধরেছেন সুমি। বাংলাদেশের আজ এই সুমিদের খুব প্রয়োজন। তাদের হাত ধরেই রচিত হবে আগামীর উন্নত ও মানবিক বাংলাদেশ। নতুন দিনের সোনালি সূর্য এই তরুণদেরই অপেক্ষায়।

 

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি/এএস/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়