ঝালমুড়ির ঝালে ক্যাম্পাস জীবন
চৈতি দাস || রাইজিংবিডি.কম
ক্যাম্পাস মানে এক ঝাঁক বন্ধু মিলে আড্ডা দেয়া, সবাই মিলে ঘুরে বেড়ানো, হাসি, ঠাট্টা, গানে, পড়াশোনায় দিন কাটানো। আবার বন্ধুত্ব, আড্ডা ছাড়া যেমন ক্যাম্পাস জীবন হয়না তেমনি ফুচকা, ভেলপুরি কিংবা ঝালমুড়ি ছাড়া ছাত্রজীবনকে কল্পনাও করা যায় না।
দুপুরে ক্লাস শেষ। কিছুক্ষণ আড্ডা অথবা বন্ধুদের সাথে গল্প না করে বাসায় যেতেই ইচ্ছে হয় না। সে কারণেই প্রত্যেকদিন ক্যাম্পাসে এসে ক্লাসের ফাঁকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাস করতে করতে যখন ক্লান্ত হয়ে যাই, তখন সেই ক্লান্তি দূর করতে চলে যাই ক্যাম্পাসের গেটের সামনে বসা ফুচকা, ঝালমুড়ি কিংবা ভেলপুরির দোকানে। সবাই মিলে ফুচকা খাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে তা বোধহয় মামার বাড়ির খাবারেও নেই।
আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে প্রতিদিনই ফুচকা, ভেলপুরি আর ঝালমুড়ি নিয়ে তথাকথিত কয়েকজন মামা বসেন। আমরা বন্ধুরা মিলে যখন খেতে আসি, তখনই শুরু হয়ে যায় বন্ধুদের সাথে খুনসুটি। কেউ ফুচকা খাবে, কেউ ঝালমুড়ি, কেউবা ভেলপুরি। আবার কারো ফুচকায় ঝাল বেশি, কারো কম। এই নিয়ে চলে বন্ধুদের মাঝে কথা কাটাকাটি।
স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই থাকে বন্ধুত্ব এবং সাথে থাকে ফুচকা, ভেলপুরি আর ঝালমুড়ির আড্ডা। ক্যাম্পাসের এসব দিনগুলো বড়ো সুন্দর, বড়ো রঙিন, বড়ো মধুময়।
এভাবেই কেটে যাবে ক্যাম্পাসে কাটানো দিনগুলো। আর একটা সময় আসবে সবাই যার যার ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। আমরা সবাই আলাদা হয়ে যাবো।
দিন আসে, দিন যাবে। আমাদের ক্যাম্পাস জীবনের মুহূর্তগুলো জমা হতে থাকে স্মৃতির পাতায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছু স্মৃতি মন থেকে মুছে গেলেও ক্যাম্পাসে কাটানো স্মৃতিগুলো কখনও ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বৃদ্ধ বয়সেও আমরা ক্যাম্পাসে কাটানো দিনগুলোকে ফিরে পেতে চাইবো। যেমন চান আমাদের অগ্রজরা। আর সেই টানেই হয়তো বা ক্যাম্পাসের এগুলো আমাদের কাছে এত প্রিয়। কিন্তু তখন চাইলেও বলতে পারবো না-
‘আয় আর একটি বার আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।
মোরা সুখের-দুঃখের কথা কবো, প্রাণ জুড়াবে তায়।’
লেখক: শিক্ষার্থী, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ (২য় বর্ষ), কবি নজরুল সরকারি কলেজ।
ঢাকা/চৈতি দাস/হাকিম মাহি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন