ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘আমার স্বপ্ন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’

আমেনা আক্তার অমি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ১৩ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘আমার স্বপ্ন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’

আমার বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার হাতিরদিয়ায়। বর্তমানে আমি নরসিংদী ইন্ডিপেনডেন্ট কলেজে ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। দেশের প্রত‌্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করায় বুঝতে পারি না আমাদের শহরগুলো কতটা অপরিচ্ছন্ন। কিন্তু যখন মেইন সড়ক দিয়ে কলেজে যাই, কিংবা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস-আদালতে যাই বুঝতে পারি আমরা কতটা অপরিচ্ছন্ন!

আমার স্বপ্ন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলার। কিন্তু আমার একার পক্ষে হয়তো কাজটি করা আদৌ সম্ভব নয়। তখনই সম্ভব হবে, যখনই আমার শব্দটি থেকে আমাদের হবে। আর হ‌্যাঁ, একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি সচেতনতা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আমাদের ইচ্ছাশক্তি বাড়াতে হবে।

আমরা যদি নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি, তাহলে দেশকে কেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব না? আসলে আমাদের শরীর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি মনকে পরিষ্কার ও সুন্দর করতে হবে।

সম্প্রতি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের থিম সং হিসেবে চিরকুট ব্যান্ড গাইছে, মন সুন্দর যার, সে রাখে দেশ পরিষ্কার। আসলেই গানটি আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে এর প্রশংসা সাধুবাদ জানাচ্ছি। দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে এমন প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।

বিশ্বের উন্নত দেশের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, সেসব দেশের রাস্তাগুলো কত সুন্দর। অথার্ৎ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। শুধু সৌন্দযর্ বধর্ন করলেই যে রাস্তা সুন্দর হয় না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, এটি আমরা ঐ সব দেশের রাস্তার চিত্র থেকে শিক্ষা পাই। আমাদের দেশের রাস্তাগুলো বাইরের দেশের মতো না, এমন কিন্তু নয়। সেসব দেশের রাস্তায় মানুষ চলাচল করে, যানবাহন চলাচল করে, আমাদের দেশের রাস্তায়ও একই। শুধু পাথর্ক্য কি জানেন? আমাদের বদভ্যাস। আর এই বদভ্যাসই রাস্তা অপরিষ্কার হওয়ার জন্য দায়ী।

যেমন, আমাদের দেশে মানুষ রাস্তায় চলতে চলতে বিড়ি-সিগারেট, মুড়ি-বাদাম, বিস্কুট-চকলেট বা অন্য কিছু খায়। আবার অনেকে রাস্তার পাশে বসে ঐসব খায়। মানুষ খাবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু খাওয়া শেষ হওয়া মাত্রই ঐ জিনিসের অবশিষ্টাংশ বা খোলস বা প্যাকেটগুলো বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না করে রাস্তায় ফেলে দেয়। দেখুন, এই মানুষগুলো যদি একটু সচেতন হয়ে খাওয়া শেষ হওয়া মাত্রই উচ্ছিষ্ট অংশ যেখানে-সেখানে ফেলে না দিয়ে একটু কষ্ট করে নিদির্ষ্ট জায়গায় বা রাস্তার পাশে বসানো ঝুড়িতে ফেলত, তাহলে বাংলাদেশ এত নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন থাকত না। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কোনো বোধোদয় নেই।

আমার মতো স্বপ্নবাজ তরুণ সমাজকে বলছি, এই দেশ আমাদের। এই প্রিয় দেশের জন্য ভালো কিছু করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা যেমন আমাদের শোবার ঘর নষ্ট করি না, তেমনি যেই পরিবেশ বা রাস্তা দিয়ে আমরা চলি, সেই রাস্তা-ঘাটকে আমরা অপরিষ্কার করতে পারি না।  

লেখক ও সংগ্রাহক: শিক্ষার্থী, নরসিংদী ইন্ডিপেনডেন্ট কলেজ।


নরসিংদী/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়