ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

করোনা দুর্যোগের সময় কর্মীদের ৭৭ কোটি টাকা দিলো ওয়ালটন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ২৬ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনা দুর্যোগের সময় কর্মীদের ৭৭ কোটি টাকা দিলো ওয়ালটন

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের জন্য এলো সুসংবাদ। তাদেরকে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর বাইরে ওয়ালটন আরো সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি টাকা দিচ্ছে সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে।

এদিকে, এই আন্তর্জাতিক দুর্যোগের সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়ালটন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যার যার সাধ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে কর্মীদের এই টাকা দিয়েছে ওয়ালটন।  বুধবার (২৫ মার্চ) ওয়ালটন গ্রুপে কর্মরতদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ চলে গেছে।  ওয়ালটনের শ্রমিক-কর্মকর্তা সবাই সমপরিমাণ অর্থ পেয়েছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে ওই টাকা পেয়ে মহাখুশী প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা এবং নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে ওয়ালটন।  নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি সব মহলে প্রশংসিত। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে ৭৬ কোটি ৮০ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮০ টাকা শ্রমিক-কর্মকর্তাদের মাঝে সমবন্টন করলো ওয়ালটন। এর বাইরে এ বছর সরকারি শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ওয়ালটন জমা দেবে ৭ কোটি ৬৮ লাখ ৫ হাজার ৮৪৮ টাকা।  যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে শীর্ষ অর্থদাতা হিসেবে রয়েছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে কারখানাসহ সব অফিস ছুটি দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস যাতে না ছড়ায়, তাই সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে।  সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  এদিকে মাসের প্রায় শেষ। এর মাঝে এতগুলো টাকা পেয়ে খুব উপকার হলো। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার জানান, কারখানাসহ সব অফিস ছুটি দেওয়া হলেও বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুপমেন্ট), হ্যান্ড সেনিটাইজার ইত্যাদি উৎপাদন এবং বিতরণের কাজ চলছে। বোর্ড পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।  দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের কারণে অভাবী মানুষদের জন্য সামাজিক সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে ওয়ালটন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতে যারা হিমশিম খাচ্ছেন, এরকম ৪০ হাজার মানুষের খাবার সরবরাহে কাজ করছে ওই ফাউন্ডেশন।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড পাবলিকেশন) উদয় হাকিম জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার সেট এফডিএ এবং সিই সার্টিফাইড বিশ্বমানের পিপিই দিচ্ছে ওয়ালটন। যার মধ্যে রয়েছে প্রোটেকটিভ স্যুট, মেডিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস, স্যু কভার, সেফটি গগলস, হেড ক্যাপ এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালগুলোর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ যন্ত্র (ভেন্টিলেটর) সহ আরো বিপুল পরিমাণ পিপিই সরবরাহ করবে ওয়ালটন।  প্রায় ২০ হাজার সেলস পয়েন্টের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র সচেতনতা এবং সেনিটাইজেশন কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এছাড়া সংবাদকর্মীদের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে।


অগাস্টিন সুজন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়