ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

করোনায় সৃষ্ট ক্ষতি পোষাতে ১-২% সুদে ঋণ চান নারী উদ্যোক্তারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১০, ৩১ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনায় সৃষ্ট ক্ষতি পোষাতে ১-২% সুদে ঋণ চান নারী উদ্যোক্তারা

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে ১ থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠানো চিঠিতে এ দাবি জানিয়েছেন উইমেন এন্ট্রাপ্রিনিওর নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়েন্ড) সভাপতি ড. নাদিয়া বিনতে আমিন।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেলে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

সংগঠনটি দাবি করছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে যে ব্যবসায়িক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তাতে চলতি পুঁজি দিয়ে মার্চ মাস পর্যন্ত খরচ চালানো সম্ভব হবে। এরপর সরকারের সহযোগিতা না পেলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা ঝরে যাবেন। এজন্য একটি আপৎকালীন তহবিল দরকার, যেখান থেকে ১ থকে ২ শতাংশ সুদে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

এ বিষয়ে ড. নাদিয়া বিনতে আমিন বলেছেন, ‘আমাদের আসন্ন সংকটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। আমরা একদিকে যেমন কোটি টাকার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারি না, অন্যদিকে ব্যবসায়িক উৎপাদন ও আর্থিক ক্ষতি হলে তা কাটিয়ে উঠতে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা পাই না।  ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের ব্যবসায়িক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তা সত্বেও হয়তো চলতি পুঁজি থেকে মার্চ মাসের খরচ চালানো সম্ভব হবে। কিন্তু ব্যবসার ভরা মৌসুম ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত করোনার নেতিবাচক প্রভাবে আক্রান্ত হওয়ায় সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা ছাড়া আমাদের ব্যবসার কী অবস্থা হবে, আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ক্রান্তিকালে সরকারের সহযোগিতা না পেলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা ঝরে যাবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘যারা চাকরি করেন, তাদের পাশে আছে তাদের প্রতিষ্ঠান। মাস শেষে একটা বেতন চলে আসে। যারা কোম্পানিগুলো চালান, তারা নিজেরাই নিজেদের ত্রাণকর্তা। যারা গরিব ও দিনমজুর, তাদের জন্য আছে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এলাকার বিত্তশালীদের দান-খয়রাত ইত্যাদি৷ কিন্তু আমাদের মতো নতুন, ক্ষুদ্র, ও মাঝারি উদ্যোক্তা আর কিছু ছোট ব্যবসায়ী, যারা কোনো তালিকায় পড়ি না, তাদের জন্য সরকারের সাহায্য ছাড়া বিকল্প আছে বলে আমরা মনে করছি না। আমরা মনে করছি, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে সর্বোচ্চ মহল থেকে আর্থিক সাহায্যসহ সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত হলে আমরা আগামী ছয় মাসের মধ্যে গুছিয়ে নিতে পারব। সেজন্যই বিশেষ ফান্ডের কথা বলা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট মহামন্দা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়