ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ডাকসুর হল সংসদ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৮, ৮ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডাকসুর হল সংসদ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় একাত্তর হল ভিপি-জিএসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

দায়িত্ব ছাড়ার এক মাস পর হল সাবেক ক্যান্টিন পরিচালক এ অভিযোগ তোলেন।

অভিযোগকারী মো. মাহফুজুল হক মোল্লা ও তার ছেলে হেলাল হল সংসদের ভিপি সজিবুর রহমান সজিব এবং জিএস নাজমুল হাসান নিশানের বিরুদ্ধে প্রায় চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও বিভিন্ন সময় হুমকির অভিযোগ করেন। তাদের কাছে এর বিভিন্ন প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।

তারা বলেন, গত জুন মাসে তাদের কাছে হল সংসদের ভিপি সজিব ও জিএস নিশান প্রায় চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ৩০ জুনের মধ্যে চাঁদা দিতে না পারলে ক্যান্টিন গুছিয়ে হল থেকে তাদের চলে যেতে বলা হয়। অন্যথায় হলে ঢুকলে পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।

তাদের অভিযোগ, সজিব ও নিশান ছাত্রলীগের অন্য কর্মীদের মোবাইল দিয়ে ফোন করে তাদের কাছে টাকা চাইতেন। টাকা না দিলে ক্যান্টিন চালাতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেন তারা। পুরো জুন মাস এভাবে তাদের জ্বালাতন ও হুমকি দেয়া হয়। তাই শুধু চাঁদা না দেয়ার জন্য পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ক্যান্টিন পরিচালনা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মাহফুজ মোল্লা ও তার ছেলে।

চাঁদা দাবি করা হলেও হল প্রশাসনের কাছে অভিযোগ না করার বিষয়ে মাহফুজ মোল্লার ছেলে হেলাল বলেন, ‘আমরা ভয়ে অভিযোগ করিনি। অভিযোগ করলে আমাদের মারধর ও হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।’

জানা যায়, সাবেক পরিচালককে পচা মাছ-মাংস ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় হল প্রশাসন।

এ বিষয়ে মাহফুজুল হক মোল্লা বলেন, ‘আমাদের মাছ-মাংস যদি পচাই হতো তাহলে হল প্রশাসনের মাধ্যমে কেনো তা শনাক্ত করা হলো না। বাজার আনার কয়েক মিনিটের মধ্যে ভিপি সজিব ও তার অনুসারীরা এসে মাছ-মাংস নিয়ে কাদা মাখিয়ে দেয়। এরপর এগুলো পচা বলে প্রচার করে এবং প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্যান্টিন পরিচালনা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।’

এ বিষয়ে কথা বলতে জিএস নাজমুল হাসান নিশানকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তবে হল সংসদের ভিপি সজিবুর রহমান সজিব বলেন, ‘পচা মাছ-মাংস আনা ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহের জন্য তাদের জরিমানা করা হয় এবং ক্যান্টিনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অভিযানটি আমি চালিয়েছিলাম বলে আমার ওপর তাদের অনেক ক্ষোভ। তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।’

বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে অনেকদির ধরে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ ছিল। তাদের কয়েকবার সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু তারা খাবারের মান উন্নত না করায় এবং পচা মাছ-মাংস সরবরাহ করায় আমরা তাদের জরিমানা করি। পরে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়ে নতুন একজনকে দায়িত্ব দিয়েছি।’

তবে হল সংসদের ভিপি-জিএসের চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ আগস্ট ২০১৯/ইয়ামিন/হাকিম মাহি 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়