ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি আগস্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৮, ১২ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি আগস্টে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছয় মাসের উপবৃত্তি ও জামা-জুতার টাকা আগামী আগস্টের আগে দেওয়া সম্ভব হবে না বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।  তবে মে মাসে এ বাবদ ৬৪৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

জুনের মাঝামাঝিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর পর শিক্ষার্থীদের মায়ের মোবাইল অ্যাকাউন্টে এ অর্থ দেওয়ার কথা ছিল।

রোববার (১২ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, এখনও শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হাতে আসেনি।  তাই টাকা দেওয়া হচ্ছে না।  তবে অর্থ অনুমোদন হয়ে গেছে।  আশা করছি আগস্টে দেওয়া যাবে।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের উপবৃত্তির ছয় মাসের টাকা, জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য অর্থ দেওয়ার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।  ঈদের আগে গত বছরের তিন মাসের বকেয়া উপবৃত্তির টাকা শিশুদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।  চলতি বছরের ছয় মাসের উপবৃত্তি বাবদ ৯০০ টাকা ও শিক্ষাসামগ্রী কিনতে ১ হাজার টাকাসহ মোট ১৯০০ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও, করোনা সংকটের কারণে প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে না পারা, সার্ভিস প্রোভাইডার শিওর ক্যাশের সঙ্গে নতুন চুক্তিসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ঘোষণা অনুসারে ঈদের আগে শিশুদের পরিবারকে এ অর্থ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ইতিমধ্যেই আগের উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে গত বছরের বকেয়া তিন মাসের (অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর) টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।  শিওর ক্যাসের মাধ্যমে প্রথম তিন মাসের উপবৃত্তির বকেয়া ২৯১ কোটি টাকা সাড়ে ৯১ লাখ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীকে বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের আগে শিশুদের চলতি বছরের ছয় মাসের উপবৃত্তির অর্থ ও শিশুদের পোশাক-আশাক কেনার টাকাও একবারে দেওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তালিকা চূড়ান্ত করা সম্ভব না হওয়ায় পিছিয়ে গেছে।  কারণ এখন নতুন প্রকল্প।  টাকার ব্যবস্থা ছাড়াও আনুষঙ্গিক অনেক কাজ বাকি ছিলো, যাদের মাধ্যমে টাকাটা দেব সেই সার্ভিস প্রোভাইডারেরর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করা হয়েছে।

দেখা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করা হয়।  প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে ২০০৮ সালে ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ গ্রহণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  দ্বিতীয় পর্যায়ের মেয়াদ ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেষ হয়।  পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।  এ পর্যায় প্রথমে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এর সঙ্গে আরও ১০ লাখ শিক্ষার্থী যুক্ত করা হয়।  প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলে আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হয়েছিল।  এবার সংশোধনীতে আরও বাড়ানো হলো এর মেয়াদ।


ইয়ামিন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়