ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শিল্পকলায় ভারতের ‘কোজাগরী’

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৭ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিল্পকলায় ভারতের ‘কোজাগরী’

গত ১০ অক্টোবর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৯’। দেশের নাট্যদলের পাশাপাশি অংশ নিয়েছে ভারতের একাধিক নাট্যদল। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রদর্শিত হবে ‘কোজাগরী’ নাটক। এটি ভারতের বেলঘরিয়া অভিমুখের আলোচিত প্রযোজনা।

হাওয়ার্ড ফাস্টের সাইলাস টিম্বারম্যান নাটক অবলম্বনে এর নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন কৌশিক চ্যাটার্জি। গল্প প্রসঙ্গে নির্দেশক জানান, আমাদের জীবন নির্বাহের জন্য ধরিত্রী যথেষ্ট সম্পদ মজুত রেখেছে। তাতেও প্রত্যেকের লোভ নিবৃত্ত হয়নি। মহাত্মা গান্ধীর এই উপলব্ধি যদি ক্ষমতার অন্দরে এবং বাইরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেত, তাহলে হয়তো পৃথিবী রক্ষা পেত ঈর্ষা, প্রতিহিংসা চালিত চরম বিপর্যয় থেকে। এই বিপর্যয় এমন আকার ধারণ করেছে যে, আমাদের সামনে জমাট অন্ধকার। কোনো আলোক রশ্মির আভাস মাত্র নেই। কিন্তু এটাই সমগ্র পৃথিবীর সার্বিক চিত্র নয়। এখনো মানুষ প্রতিবাদ গড়ে তুলছেন। এই ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বাজারি অর্থনীতির বিরুদ্ধে। কখনো সে একা আবার কখনো সংঘবদ্ধভাবে। এরই মাঝে এসে দাঁড়ায় ‘কোজাগরী’ নাটকের গল্প।

নাটক প্রসঙ্গে কৌশিক চ্যাটার্জি বলেন, ‘এই নাটকের মূল চরিত্র শৈলেশ প্রতিবাদ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। যে ক্ষমতার দম্ভ আরো বেশি লাভের আশায় নির্বিকারে ধ্বংস করে প্রকৃতিকে। শৈলেশ একজন সাধারণ ভীতু মানুষ থেকে হয়ে ওঠে প্রতিবাদী কণ্ঠ। শৈলেশ শুধু প্রতিবাদী কণ্ঠ নয়, সে আমাদের বারংবার মনে করায় ক্ষমতার বিকৃত প্রয়োগের বিরুদ্ধে কথা বলাটা মানুষের অস্তিত্বের প্রশ্ন। তাই এত অন্ধকারের মধ্যেও এই প্রতিরোধগুলো আমাদের স্বপ্ন দেখায় সুস্থ স্বাভাবিক গণতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখার।’

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন—অশোক মজুমদার, জয়তী চক্রবর্তী, সায়নী সরকার/ স্বাতীলেখা কুন্ডু, জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া রায় চৌধুরী, কল্যাণব্রত ঘোষ, অনুজয় চ্যাটার্জি, উজান চ্যাটার্জি, বর্ণালী চ্যাটার্জি, কৌশিক শীল, শান্তনু সাহা, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, বারীশ ভট্টাচার্য, দিব্যেন্দু বর্মণ রায়, বাণীব্রত রায়, শুভম চক্রবর্তী, সঞ্জীব বিশ্বাস, সুজয় রাজ মৈত্র, অরূপ দাস, দীপায়ণ ভৌমিক, অনুপ কুন্ডু, অভিষেক মুখার্জি প্রমুখ।

মঞ্চভাবনায় জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, আলোক পরিকল্পনায় দীপঙ্কর দে, আবহ উজান চ্যাটার্জি, কণ্ঠ শুভদীপ গুহ, শব্দ প্রক্ষেপণ অভীক চক্রবর্তী, পোশাক পরিকল্পনায় প্রসুন চ্যাটার্জি, রূপসজ্জায় অলোক দেবনাথ, নামাঙ্কন তর্পণ সরকার, মঞ্চ নিয়ন্ত্রণে গৌতম রায়, স্থিরচিত্র অয়ন, তনুময় দত্ত।

 

ঢাকা/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়