ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠল

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠল

শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে পর্দা উঠল ১৫তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবের।

গতকাল শনিবার এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা কুমার সাহানী, ভারতের প্রখ্যাত স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার কমল স্বরূপ।

বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক এন. রাশেদ চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জাহিদুর রহিম অঞ্জন।  জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মূল ভেন্যু কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ৫টি ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

বরাবরের মতো এবারো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ হীরালাল সেন আজীবন সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় বাংলাদেশের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংগঠক মোরশেদুল ইসলামকে। প্রতিটি পুরস্কারের সঙ্গে বিজয়ীদের দেয়া হবে প্রখ্যাত বাংলাদেশি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর ডিজাইনকৃত একটি সুদৃশ্য উৎসব স্মারক ও সার্টিফিকেট।

৭-১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ উৎসবের মূল কেন্দ্র হিসেবে থাকছে—কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন, জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন এবং একাডেমির সেমিনার হলসমূহ।

এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে—প্রয়াত স্বাধীন চলচ্চিত্র ধারার অন্যতম গুণী নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সম্পাদক সাইদুল আনাম টুটুল, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ খ্যাত অসংখ্য চলচ্চিত্রের-চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন ও চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ খসরুকে।

বিশ্বের ৪৫টি দেশের নির্মিত অন্তত শতাধিক স্বল্প ও মুক্ত দৈর্ঘ্যে চলচ্চিত্র বিভিন্ন বিভাগে দেখানো হবে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ আলমগীর কবির স্মারক বক্তৃতা, তিনটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও একটি মাস্টার ক্লাস। উৎসবের দুটি কর্মশালার একটি হবে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভাবনা ও অন্যটি চিত্রনাট্য রচনার সাম্প্রতিক ট্রেন্ড ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে চলচ্চিত্রের বিষয়।

প্রথমটির প্রশিক্ষক ভারতের এফটিআইআই’র শিক্ষক, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা অনির্বাণ দত্ত ও কানাডার তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক জেসি আল্ক। দ্বিতীয় কর্মশালা পরিচালনা করবেন খ্যাতনামা ভ্যারাইটি পত্রিকার চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সমূহের এশিয়ান সিনেমার নির্বাচক ও চিত্রনাট্য রচয়িতা নামান রামাচন্দ্রন। এ সকল ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি’র অর্ধেক মূল্যে নিবন্ধন করতে পারবে। এছাড়া ‘অরালিটি অ্যান্ড মুভমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনা করবেন তুলনামূলক সাহিত্যের শিক্ষক ও ভারতের বিশিষ্ট অনুবাদক ড. রিমলি ভট্টাচার্য্য।

উৎসবে জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন—ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা কমল স্বরূপ, ব্রিটিশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক নামান রামাচন্দ্রন, লিথুয়ানিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতা লাইনাস মিকুতা, ইরানের চলচ্চিত্র নির্মাতা সাঈদ নেজাতি, ভারতের বিশিষ্ট প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা অনির্বাণ দত্ত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক জাহিদুর রহিম অঞ্জন। নেটপ্যাক জুরি অ্যাওয়ার্ডে জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন— হংকংয়ের স্যাম হো, তাজাকিস্তানের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অধ্যাপক সারোফাত আরাবোভা ও বাংলাদেশের নেটপ্যাক সদস্য, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক ড. জাকির হোসেন রাজু।


ঢাকা/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়