ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ডাব বিক্রির ধুম

জুনাইদ আল হাবিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ২৬ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডাব বিক্রির ধুম

জুনাইদ আল হাবিব : নারকেল-সুপারি ভরপুর, সয়া-ইলিশের লক্ষ্মীপুর। এ জনপদের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে নারকেল গাছের দেখা মিলবে। নারকেলের ব্যাপক উৎপাদন লক্ষ্মীপুর জেলাকে একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য এনে দিয়েছে। যার কারণে জেলার পরিচিতির স্লোগানে নারকেলের আলাদা একটি প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।

নারকেলকে ঘিরে এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা বেশ সচল। উচ্চ ফলনশীল হওয়াতে নারকেল গাছ রোপণে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা যায়। পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নারকেল বাজারে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন এ অঞ্চলের মানুষরা। নানা রকমের পিঠা-পুলি, ফিরনি-সেমাই ইত্যাদি রান্না করার জন্য নারকেলের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। আবার ঝুনা নারকেল দিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে তেলও তৈরি করেন অনেকে।

এখানের বাজার কিংবা পথে ঘাটে নারকেল বিক্রির দৃশ্য বরাবরই নজর কাড়ে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক ভিন্নচিত্র চোখে পড়ছে। নারকেল ঝুনা হওয়ার অপেক্ষা না করে বরং নারকেল কচি অবস্থায় (ডাব) বিক্রির ধুম পড়েছে এ জেলার সর্বত্র।

কেন নারকেল পাকতে (ঝুনা) না দিয়ে কচি নারকেল (ডাব) বিক্রির ধুম পড়েছে, এর পেছনের কারণ জানতে চাইলে কমলনগরের নারকেল চাষি আবদুল করিম (৬০) বলেন,  ঝুনা নারকেলের দাম বাজারে এখন খুব কম। তাছাড়া নারকেল ঝুনা হওয়া পর্যন্ত অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ডাব গাছে ফলার কয়েকদিনের মধ্যেই বিক্রি করা যায়। তাই ডাব বিক্রি করে আমরা বেশি লাভবান হচ্ছি। এক জোড়া ডাব বিক্রি করতে পারি ৩২ টাকায় আর ঝুনা নারকেল বিক্রি করতে হয় ২০ থেকে ২৫ টাকায়।

লক্ষ্মীপুরের এসব ডাব পৌঁছে যায় রাজধানী ঢাকার বড় বড় বাজারে। এমনটাই জানান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর উভূতি গ্রামের ডাব ব্যবসায়ী আবু তাহের (৪৫)। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খুব গরম। এ গরমে দেহ মনে প্রশান্তি পেতে অনেকেরই ডাবের পানি পছন্দ। তাছাড়া কচি ডাব পানি অনেক রোগের উপশম। যেমন ধরুন- ডায়রিয়া কিংবা ডেঙ্গু। আমরা একটা ডাব কিনি ১৬ টাকা করে। ঢাকায় কত বিক্রি করতে পারি, সেটা চাহিদার উপর নির্ভর করে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তানসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় আমি ডাব সরবরাহ দিই। নিলামে ওখানকার বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিই। বেশিদিন হয়নি আমি এ ব্যবসা শুরু করেছি। গাছ থেকে ডাব  পাড়ানোর জন্য লোকও রাখতে হয়। প্রতিটি ডাব পাড়লে দুই টাকা। চেষ্টা করবো, এ ব্যবসা চালিয়ে নেয়ার জন্য। যাতে চাষিরাও উপকৃত হয়।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ আগস্ট ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়