শিশুর স্থূলতা নিয়ে চিন্তিত?
স্বাস্থ্য ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
বয়সের তুলনায় শিশুর ওজন বেশি কিংবা কম, দুটোই চিন্তার কারণ। যেসব বাচ্চা স্থূলতায় ভুগছে, তাদের জন্য বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতাই হলো এসব শিশুদের বড় চিকিৎসা।
বাচ্চাদের স্থূলতা কমাতে কী করবেন?
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ, বেশি সময় স্কিনের দিকে দৃষ্টি রাখা, সঠিকভাবে না ঘুমানোর কারণে বাচ্চারা মুটিয়ে যেতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে নিচের নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন।
ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময়
ঘুম শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। কম ঘুম শিশুর মুটিয়ে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ। বাচ্চাদের ঘুমের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন। যদি বাচ্চা দেরিতে ঘুমায় এবং বেশি বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তার ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সূচি থাকতে হবে। যদি দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি হয়েই যায়, তবে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে সময় এগিয়ে নেয়া যেতে পারে।
খাওয়ার নির্দিষ্ট সময়
সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি প্রয়োজন খাদ্য রুটিন। কোন খাদ্য কখন খাওয়া বেশি উপকারী, তা শিশুর চেয়ে মা-বাবার জানাটা বেশি দরকার। শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণে সচেতন থাকতে হবে মা-বাবাকেই।
ইন্টারনেট আসক্তি কমাতে হবে
অধিকাংশ শিশু খাওয়ার সময় বিরক্ত করে। এ কারণে অভিভাবকরা খাওয়ার সময় শিশুর হাতে মোবাইল ফোন অথবা ট্যাব ধরিয়ে দেন। এভাবে এক সময় শিশু এ বিষয়ে আসক্ত হয়ে পড়ে। ইন্টারনেট আসক্তি শুধু শিশুর মুটিয়ে যাওয়ার পেছনেই কাজ করে না। এটা শিশুর চোখ ও মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে। তাই শিশুর মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য এগুলো থেকে দূরে রাখতে হবে।
খেলাধুলার ব্যবস্থা
এখন শহরের শিশুরা খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পায় না। ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই তাদের দিন-রাত পার করতে হয়। চিকিৎসকদের মতে, খেলাধুলা শিশুর শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেলার সময় অন্য শিশুর সঙ্গে সে মেলামেশার সুযোগ পায়।
বিশেষজ্ঞরা যা বললেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ড. মানিক কুমার তালুকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, শিশুদের স্থূলতা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম ফাস্ট ফুড গ্রহণ। এছাড়া অনেক সময় বাচ্চারা খেতে না চাইলেও মা তাদের জোর করে খাওয়ান, এটা মোটেও ঠিক না। শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে মা-বাবাকে বেশি সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সন্তানদের ভালো রাখতে টেলিভিশন, মোবাইল তথা ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে রাখতে হবে। খেলধুলাসহ অন্যান্য কাজে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
ঢাকা/ইভা/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন