চালকের আড়ালে তারা ছিনতাইকারী
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : রনি, সুজন ও আউয়াল। পেশায় সবাই গাড়ি চালক। কিন্তু মূল পেশার আড়ালে তারা মূলত ছিনতাইকারী।
আরএফএল কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম হত্যার পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, ৩ জনই মূলত মাদকের টাকা যোগাড় করতে বাসের কন্ট্রাকটর, কেউবা হেলপার আবার কেউ অটোরিকশা চালক সেজে ওঁৎপেতে থাকে। সাধারণের চালচলন দেখে তাদের টাগের্ট করে। পরে টার্গেট করা ব্যাক্তিকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। কেড়ে নেয় সবকিছু । পরে ওই ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, তারা মূলত যোগ সাজশে ছিনতাই করে। একত্রে সবাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাস চালায়। থাকে রাজধানীর আবব্দুল্লাহপুরে। লক্ষ্য থাকে কারা বেতনের টাকা পেয়েছে এবং টাকা সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তারা নির্জন জায়গায় বাস থামিয়ে চেস্টা করে ছিনতাই করার। যদি টাগের্ট করা ব্যক্তি বাস থেকে নেমে যায় তাহলে তাদের অন্য সঙ্গীদের বলে যায়, ওই যাত্রীর ওপর ঝাপিয়ে পড়তে।
এছাড়া মোটরসাইকেল, রিকশা করে যাওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে টান দিয়ে তাদের মোবাইল, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। তাদের একটি চক্র আছে। যারা বাস, রিকশা বা অটোরিকশা চালায়। আর এসবের আড়ালে চলে ছ্তিাইয়ের নিত্য নতুন ফাঁদ।
উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর নাটোর থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে রাতে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় ছিতাইকারীর কবলে পড়েন আরএফএল কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম। ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছায়া তদন্তে নেমে র্যাব রোববার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ সেপ্টম্বর ২০১৯/মাকসুদ/নবীন হোসেন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন