টুপি নিয়ে দুই সংস্থা বলছে দুরকম!
গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় হলেও আদালত চত্বরে আসামির মাথায় আইএসে লোগোযুক্ত টুপি কীভাবে এলো- তা নিয়ে বিতর্ক থামছে না।
এর আগে কারাকর্তৃপক্ষ জেল থেকে আইএস টুপি যায়নি বলে জানান দিলেও পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট্ররা বলছেন, টুপিগুলো কারাগার থেকেই এসেছে।
আদালতে আসামিরা টুপি কীভাবে পেল- তার তদন্ত শেষ করে বৃহস্পতিবার ডিএমপির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে কমিশনারের কাছে। তদন্ত শেষও হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে কারাগারের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। কারাগারে আসামিদের তল্লাশি করা হয়েছে। আসামিদের কাছে দুটি সাদা এবং একটি কালো টুপি ছিলো। তবে টুপিগুলো আনতে বাধার সম্মুখিন হয়নি তারা। টুপির ভাঁজে কিছু লেখা রয়েছে কি না, সেটি ফুটেজে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাইজিংবিডির প্রশ্নে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘পেশাদারিত্ব কিংবা সচেতনতার ঘাটতি ছিল দায়িত্বশীল পুলিশের। আবার তারা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারেননি। তদন্ত প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এরপরই বিস্তারিত জানাবো।’
এর আগে কারা অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ‘কারাগার থেকে টুপি যায়নি। কেননা আসামিদের বের করার সময় তল্লাশির নিয়ম রয়েছে। তা করে আসামিদের পুলিশ নিয়ে যায়। তারপরও কারাগারের কেউ জড়িত থাকার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অবশ্য সরকারি দুই সংস্থার তথ্যের সঙ্গে মিলছে না ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি রাকিবুল ইসলাম রিগ্যানের। অন্য আরেক মামলায় শুনানির সময় সেই রিগ্যান আদালতকে বলেন, ‘রায়ের দিন আদালতে কেউ একজন ভিড়ের মধ্যে তাকে টুপিটি দেয়। পরে সে টুপিটি মাথায় পড়ে। অবশ্য আদালতের গারদখানায় কেউ টুপিটি দিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট্ররা।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ভয়ঙ্কর ও ন্যক্কারজনক এই জঙ্গি হামলার রায় দেন ঢাকার বিশেষ আদালত। রায়ে রিগ্যানসহ ৮ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ হয়। রায়ের পরই আসামিরা আইএস লেখা সম্বলিত টুপি আদালত চত্বরে মাথায় দেয়। এরপরই শুরু হয় নানা বিতর্ক।
ঢাকা/মাকসুদ/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন