ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৩৭, ২০ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার রায় আজ

১৯ বছর পর সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে আজ।

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা হয়। এতে নিহত হন পাঁচজন। আহত হন ২০ জন।

সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন। গত বছর ১ ডিসেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করা হয়।

ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালত রায় ঘোষণা করবেন। আশা করছি, সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, মামলাটিতে প্রথম চূড়ান্ত প্রতিবেদন হয়েছিল। পরবর্তীতে আবার তদন্তে গিয়ে চার্জশিট হয়। মামলার ১৪ জন আসামির মধ্যে একজনের কথিত একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে। অন্য কোন সাক্ষ্য প্রমাণ নেই। তাই শুধু ওই একজনের স্বীকারোক্তি দিয়ে আসামিদের দণ্ড হওয়ার সুযোগ নেই।

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ১৯ বছর পর অবশেষে মামলাটির রায় হতে যাচ্ছে। আশা করছি, প্রকৃত অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। সাথে সাথে হামলার পেছনের ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করতে হবে। ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত না করায় পরবর্তীতে অনেক ঘটনা ঘটেছে। কাজে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলায় ৫ জন নিহত হন। তারা হলেন- খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন, খুলনার বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস।

ওই ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে তদন্ত শেষে  আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল।

এরপর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের আগস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়। এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ২০০৫ সালে মামলাটি আবার পুনঃতদন্তের আদেশ দেয়া হয়। পুনঃতদন্তের পর ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্ব আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মৃনাল কান্তি সাহা। পরের বছর ২১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

মামলায় ১৩ আসামি হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মুফতি মাঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে আবদুল হান্নানের ব্রিটিশ হাইকমিশনার হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তাকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। অপর আসামিদের মধ্যে শওকত ওসমান, সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান সুমন ও মঈন উদ্দিন কারাগারে আছেন। কারাগারে থাকা আসামিরা সবাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি এবং ওই মামলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।



ঢাকা/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়