ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যেসব খাবার দ্রুত চুল বৃদ্ধি করে

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ২৬ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যেসব খাবার দ্রুত চুল বৃদ্ধি করে

প্রতীকী ছবি

আহমেদ শরীফ : সুন্দর চুল একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে আরো উজ্জ্বল করে তোলে। তাই বিশেষত নারীরা সুন্দর, লম্বা চুলের স্বপ্ন দেখেন সব সময়। সে লক্ষ্যে এখন অনেকে সেলুনে গিয়ে প্রচুর অর্থ কড়িও ব্যয় করছেন। তবে দেখা যায় সেসব ট্রিটমেন্ট ভালো ফল বয়ে আনে না। আমাদের চুল প্রতি মাসে ০.৫ ইঞ্চি ও প্রতি বছরে ৬ ইঞ্চি করে বাড়ে।

অবশ্য চুলের এই বেড়ে উঠা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর, যেমন- সঠিক খাবার, চুলের যত্ন ও জেনেটিক বিষয়। বয়স বাড়া বা জেনেটিক সমস্যায় চুলের বৃদ্ধি কমে গেলে কিছু করার থাকে না কারো। এক্ষেত্রে সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি অনেকটাই স্বাভাবিক রাখা যায়। গবেষকরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার খাওয়া চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখে ও চুল পড়া কমায়। যদি সঠিক পুষ্টিকর খাবার না খান আপনি, তাহলে কোনো হেয়ার ট্রিটমেন্টই কাজে দেবে না। তাই চুলের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এ প্রতিবেদনে উল্লেখিত খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন।

* ডিম: প্রোটিন ও বায়োটিনের খুব ভালো এক উৎস ডিম। এটি চুলের যত্নে ও চুল বাড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেহেতু চুলের গোড়া প্রোটিনের মাধ্যমে তৈরি হয়, তাই শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে চুল পড়তে থাকে। চুলের জন্য ক্যারাটিন নামের প্রোটিন তৈরি করে বায়োটিন। গবেষণায় জানা গেছে, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার চুল নিশ্চিতভাবেই বাড়তে সহায়তা করে।

* পালং শাক : সবুজ শাকের মধ্যে পালং শাক খুবই স্বাস্থ্যকর। এতে ফোলেট, আয়রনের মতো প্রচুর পুষ্টি থাকে, ভিটামিন এ ও সি থাকে। এসব উপাদান চুল বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ মাথার তালুকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈলাক্ত রাখে। এতে মাথার তালুতে শুষ্ক ভাব বা চুলকানি হয় না। এক কাপ (৩০ গ্রাম) পালং শাকে আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভিটামিন এ থাকে।

* ফ্যাটযুক্ত মাছ : স্যামনের মতো ফ্যাটযুক্ত মাছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক। এসব মাছে ফসফরাস ও জিংক থাকে, যা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের খুব ভালো উৎস। গবেষণায় জানা গেছে, ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

* মিষ্টি আলু : বিটা ক্যারোটিনের খুব ভালো উৎস মিষ্টি আলু। একটি মাঝারি আকারের মিষ্টি আলুতে পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন থাকে। বিটা ক্যারোটিন চুল ভালো রাখে ও চুল পড়া কমায়।

* অ্যাভোকেডো : অ্যাভোকেডো ফলে প্রচুর পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এতে অনেক ভিটামিন ই থাকে, যা চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। একটি মাঝারি অ্যাভোকেডো আপনার প্রতিদিনের ২১ শতাংশ ভিটামিন ই চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

* বীজ : অনেক তৈলবীজ থেকে যে তেল উৎপন্ন হয়, তা চুলের বৃদ্ধিতে খুব উপকারি। এসব বীজে ভিটামিন ই, জিংক ও সেলেনিয়াম থাকে। সূর্যমূখী বীজের তেলে আপনি প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই এর ৫০ শতাংশ পাবেন।

* ঝিনুক : জিংকের অন্যতম এক উৎস ঝিনুক। এটি চুলের বৃদ্ধি, চুল পড়া বন্ধে বেশ কার্যকর। জিংকের অভাবে চুল পড়া রোগের নাম টেলোজেন এফলুভিয়াম। জিংক সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেলে এই রোগ সেরে উঠতে পারে।

* শিম : উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের খুব ভালো এক উৎস শিম। এতে জিংকও থাকে প্রচুর। তাই শিম চুলের বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া চুল আবারো উঠায় ভূমিকা রাখে।

এছাড়া চুল পড়া কমাতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সবুজ সব শাকসবজি, শুকনো খেজুরও বেশ উপকারি।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরো পড়ুন :

* চুল ধোয়ার যত ভুল পদ্ধতি

* খুশকির ৫ কারণ

* খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার ১১ প্রাকৃতিক উপায়

* খুশকি নিয়ে যত ভুল ধারণা

* ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানো কতটা খারাপ?

* ৮ কারণে চুলে মধু

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ আগস্ট ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়