রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় যেতে চায়নি: জাতিসংঘ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক : যাবতীয় প্রস্তুতি থাকলেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নিজেরাই রাখাইনে ফিরে যেতে রাজি হয়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সর্ম্পকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এই মন্তব্য করেছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকারের ফলাফল হিসেবে সংস্থাটি এই তথ্য জানায়।
তবে সংস্থাটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাছাই করা ৩ হাজার ৪৫০ রোহিঙ্গা শরণার্থীর নাম বাংলাদেশ সরকারকে দেয় মিয়ানমার। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াকে মিয়ানমারের আগ্রহ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় কি না সেটা নিশ্চিত করতে জরিপ কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করে আসছে ইউএনএইচসিআর। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখাও করেছে।
তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় কি না তা জানতে কাজ করেছে। তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। তবে সাক্ষাৎকার দাতাদের মধ্যে কেউই এই সময়ে মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যেতে আগ্রহ দেখায়নি।
তবে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ইউএনএইচসিআর এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ইউএনএইচসিআর শরণার্থীদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। একই সঙ্গে সরকার থেকে ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতির প্রশংসাও করে সংস্থাটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনএইচসিআর আরো জানায়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে তারাও একমত যে, শরণার্থীদের যেকোনো প্রত্যাবাসন অবশ্যই স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ ও মর্যাদার ভিত্তিতে হতে হবে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফেরাতে ও তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে ইউএনএইচসিআর উভয় সরকারকে (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ আগস্ট ২০১৯/হাসান/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন