মাছ-ডিম-দুধ-পোল্ট্রি উৎপাদনে নির্দেশনা
করোনাভাইরাস রোধে সরকারি ছুটির সময়ে মাছ, ডিম, দুধ, পোল্ট্রির উৎপাদন, সরবরাহ ও পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল বলেছে, ডিম, মাংস ও দুধ- এগুলো পঁচনশীল দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দ্রুত এ ধরনের খাদ্য দ্রব্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়া জরুরি। এছাড়া, এক দিনের বয়সের মুরগির বাচ্চা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডিলারের দোকানে পৌঁছে দিতে না পারলে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ মুরগির বাচ্চা মারা যেতে পারে। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই ডিম ও মুরগির মাংসের স্বাভাবিক যোগান ঘাটতি পড়তে পারে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি ছুটির সময় বিবেচনা করে পোল্ট্রি, ডিম, একদিনের মুরগির বাচ্চা, হাঁস-মুরগি-গবাদি পশুর খাদ্য, মাংস, দুগ্ধজাতপণ্য, প্রাণিজাত পণ্য ও কৃত্রিম প্রজননসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জামাদিসহ মাছ, মাছের পোনা ও মৎস্য খাদ্য উৎপাদন, পরিবহনসহ বিপণন স্বাভাবিক রাখতে ডিসিদের নির্দেম দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, চলমান পরিস্থিতিতে এসব পণ্যের পরিবহন কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল।
‘কোভিড-১৯’ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন