করোনা ঝুঁকিতেও মাইক্রোবাসে অতিরিক্ত যাত্রী
করোনার ঝুঁকি নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন মানুষ। ছবিটি শনিবার গাবতলী বাসটার্মিনাল থেকে তোলা (ছবি: শাহীন ভূঁইয়া)
ঈদের ছুটিতে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। গণপরিবহন না চলায় প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি বসে করোনা ঝুঁকি নিয়েই ছুটছেন তারা।
শনিবার (২৩ মে) গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট দেখলেই যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন চালকরা। চেকপোস্ট অতিক্রমের পর আবার তাদের গাড়িতে উঠাচ্ছেন। যাত্রীরাও নেমে চেকপোস্ট পার হয়ে কিছুটা সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। পরে গাড়ি তাদের সামনে এলেই ঝটপট গাড়িতে উঠেন।
বেশি যাত্রী কেন নেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে কথা হয় প্রাইভেটকার চালক মোহাম্মদ মজনুর সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, প্রাইভেটকারে নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভারসহ ৪ জন যেতে পারে। কিন্তু করোনার কারণে আমাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী নিতে। তাই আমরা ২ জন বা তিনজন নিচ্ছি। তবে মাইক্রো ড্রাইভাররা বেশি যাত্রী নিচ্ছেন। তারা ৭ জন করে যাত্রী গাড়িতে তুলছেন। পুলিশ এসে বাধা দিলে তখন আবার যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছেন। পুলিশ না থাকলে ঠিকই বেশি যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে এক মাইক্রোচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পাটুরিয়া যাওয়ার সময় যাত্রী পাওয়া যায় অনেক। কিন্তু আসার সময় খালি আসতে হয়। তাই যাত্রী বেশি নিচ্ছি।
সামাজিক দূরত্ব কেন মানা হচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাত্রীদের খুব চাপ। যাত্রীরা তো নিয়ম মানতে চান না। তারা বেশি করে উঠতে চান যেন ভাড়া কম লাগে।
পাটুরিয়াগামী যাত্রী রাতুল হাসান বলেন, মাইক্রো ড্রাইভাররা মিথ্যা বলছেন। তারা ৭ জন না হলে গাড়ি ছাড়েন না। ড্রাইভারা আমাদের বাধ্য করছেন বেশি যাত্রীদের সঙ্গে যাতায়াত করতে।
গাবতলি বাস টার্মিনাল এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জাকারিয়া হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, নিজস্ব পরিবহন চলাচল করতে দেওয়ায় প্রচুর ঘরমুখো মানুষ এই এলাকা দিয়ে ঢাকা ত্যাগ করছেন। আমরা খুব কঠোরভাবে নির্দেশনা পালন করছি। বেশি যাত্রী নিয়ে কোনও পরিবহনকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
চেকপোস্ট পার করে আবার যাত্রী তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ আমরাও এই সংবাদ পেয়েছি কিছুক্ষণ আগে। আমরা এই বিষয়ে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি। কাউকেই নিয়মের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।
হাসিবুল/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন