করোনা: প্রতিষ্ঠানে যে বিষয়গুলো অবশ্যই থাকতে হবে
সাধারণ ছুটি শেষে রোববার (৩১ মে) থেকে খুলতে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকটি বিষয় আবশ্যিকভাবে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার (৩০ মে) মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখার কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯ মহামারি সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কারিগরি নির্দেশনা শীর্ষক গাইডলাইন দেওয়া আছে। গাইডলাইনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনার ও বিভিন্ন পেশার জনগণের জন্য প্রতিপালনীয় নিয়মাবলী সংকলিত রয়েছে। ৬২ পৃষ্ঠার বইটিতে ৩৩টি অধ্যায়ে ৫৭টি স্থাপনা এবং এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় বিবৃতি রয়েছে। এগুলো মেনে চলার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সব স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক ও ব্যবস্থাপকদের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতা একান্তভাবে কাম্য। প্রতিটি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক ও ব্যবস্থাপকদের কয়েকটি বিষয় আবশ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে।
এগুলো হলো- হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করা, দূরত্ব বজায় রাখা এবং দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, থার্মোমিটার থাকা এবং যথেষ্ট পরিমাণে জীবাণুনাশক রাখার ব্যবস্থা করা।
নাসিমা সুলতানা বলেন, মনে রাখতে হবে, জনগণের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা বিধানের বিষয় আমাদের জনগণের হাতেই। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আগামীকাল থেকে কর্মকাণ্ড শুরু হবে, সেখানে আমরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকতে পারি।
এদিকে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১০ জনে। একই সময়ে নতুন করে আরও ১ হাজার ৭৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
** করোনায় সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন যে বয়সের রোগীরা
ঢাকা/মামুন/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন