ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

দুর্যোগ প্রশমন দিবসে নজর থাকুক উপকূলে

রফিকুল ইসলাম মন্টু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৩ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুর্যোগ প্রশমন দিবসে নজর থাকুক উপকূলে

‘দুর্যোগ’ শব্দটি সামনে এলে সবার আগে কল্পনায় ভাসে উপকূল অঞ্চল। বঙ্গোপসাগরের গা ঘেঁষে জেগে থাকা ৭১০ কিলোমিটার সমুদ্ররেখা ভৌগোলিক কারণেই ঝুঁকিতে থাকে প্রায় সারাবছর। শুকনো মৌসুমে এই জনপদের মানুষ কিছুটা চিন্তামুক্ত থাকলেও মার্চ থেকে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত উপকূলবাসীর দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়- ইত্যাকার নানার দুর্যোগ এই প্রান্তিকের মানুষদের নিয়ত তাড়িয়ে ফেরে। মার্চ থেকে শুরু হওয়া ‘ডেঞ্জার পিরিয়ড’ উপকূলের মানুষদের জন্য ভয়ের মৌসুম। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বছরে বছরে উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগের মাত্রা বাড়ছে। বছর ঘুরে আবারও এসেছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই দিবসকে সামনে রেখে আমরা দুর্যোগপ্রবণ উপকূল অঞ্চলের দিকে কতটা নজর রাখছি।

কদিন আগে ঘুরে এলাম উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের মেঘনা তীরবর্তী উপজেলা কমলনগর। গত কয়েক বছর ধরে সেখানকার ভাঙনের চিত্র যারা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন, তাদের মধ্যে আমি একজন। ভাঙন ক্রমেই উপজেলাটিকে গিলে খাচ্ছে। তীর ভাঙছে। বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ফসলি জমি যাচ্ছে অতলে। নিঃস্ব হচ্ছে সম্পদশালী মানুষ। এ কথাগুলো কমলনগরের বেলায় খুবই সাধারণ। বাত্তিরখাল, মাতব্বরহাট, পাটারীহাট, লুধুয়া, সাহেবেরহাট, বিশ্বরোড, কালকিনি, জগবন্ধু- এই নামগুলো এখনও টিকে আছে বটে; কিন্তু মূল জনপদ যে কবেই হারিয়েছে! নদীর তীরে দাঁড়িয়ে এলাকার লোকজন সেই স্থানগুলো দেখানোর চেষ্টা করেন। কোনটি দুই কিলোমিটার, কোনটি পাঁচ কিলোমিটার দূরে নদীর মাঝখানে। কমলনগরের মেঘনাতীরের এই অংশের মানচিত্র বলতে গেলে প্রায় প্রতিদিনই বদলে যাচ্ছে। অন্তত পাঁচ বছর ধরে কমলনগর দেখছি। কিন্তু এবারে বর্ষার শেষদিকে যা দেখলাম; সে দৃশ্য অন্য কোন সময়ে চোখে পড়েনি। ক্রমাগত ভেঙে চলে মেঘনা। চোখের সামনে স্কুল ভবন, মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠসহ বহু বসতবাড়ি চলে গেল নদীর গর্ভে। এগুলো তাকিয়ে দেখা ছাড়া মানুষের যেন আর কিছুই করার নেই। দীর্ঘ এলাকা নিয়ে মাটিতে ফাটল নেওয়ার মাত্র পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যে মাটির বৃহৎ স্তুর ভেঙে পড়ার দৃশ্য না দেখলে এর ভয়াবহতা বোঝার উপায় নেই।

উপকূল অঞ্চলের এইসব ভয়াবহ দৃশ্য উপর মহলের নজরে আসে না। ‘ভাইরাল’ না হলে আজকাল কোন বিষয়ে কারও নজর পড়ে না। কমলনগরের এবারের ভয়াবহ নদীর ভাঙন চলাকালে ছবি ভিডিও দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মাননীয় দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম- ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে কমলনগরের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। দৃশ্যগুলো দেখে আমার খুবই কষ্ট লাগছিল। তাই মন্ত্রীর প্রতি কমলনগরবাসীর পক্ষ হয়ে আবেদন জানিয়েছিলাম। যদি মন্ত্রী মহোদয়ের নজরে পড়ে; তাহলে হয়তো এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য ফিরতে পারতো। না, ফিরে তাকাননি মন্ত্রী মহোদয়। হয়তো তার কাছে আবেদন পৌঁছেনি। যদিও ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে হাজার হাজার বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছিল নদীর প্রবল স্রোতের মধ্যে। বেশ কয়েকদিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম বস্তাগুলো ফেলা মাত্রই তা তলিয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের থাবা প্রসারিত হচ্ছে তার আগ্রাসী গতিতে। এভাবে কোন এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষা করা যায় কি না; এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাই না। সরকারের পক্ষ হয়ে এলাকার সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাদের ভাঙন এলাকায় যেতে দেখেছি। ভাঙন রোধের উদ্যোগ সম্পর্কে আমি জানতে চেয়েছিলাম এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের কাছে। তিনি জানিয়েছেন- প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও নদীর গর্ভে হারাতে দেওয়া হবে না। বর্ষায় নদীর স্রোত বেশি ছিল; আমাদের শক্তি কম ছিল। এখন নদীর স্রোত কমবে; আমাদের শক্তি বাড়বে। তবে কার শক্তি বাড়ল, কার শক্তি কমলো- তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই এলাকার মানুষের। তারা ভাঙন রোধ চান। ভাঙনের ছোবল থেকে সম্পদ রক্ষা করতে চান।

উপকূলের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে তাকালে ভয়াবহ দুর্যোগের এমন হাজারো উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যায়। আসুন, ভোলার চরফ্যাসনের সর্বদক্ষিণে সমুদ্রের মোহনায় জেগে থাকা দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচরে। এই দ্বীপটিও বলতে গেলে প্রায় চোখের সামনেই হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় যে দ্বীপটি ছিল অবারিত সম্পদ সম্ভাবনায় ভরপুর; সে দ্বীপ এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছে। মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে একটি ইউনিয়ন। অবশিষ্ট আছে মাত্র তিনটিও ওয়ার্ড। দ্বীপের স্থায়ী বাসিন্দাদের অনেকেই অন্যত্র চলে গেছে। স্কুল, মাদ্রাসা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, মাটির কিল্লাসহ বহু স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। মাত্র একবছর আগে হস্তান্তর করা নতুন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটিও কদিন আগে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবনের স্থানে এখন মেঘনার উত্তাল ঢেউ। কিছু মানুষ এখনও আছেন ঢালচরে; তারা আছের শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে। দ্বীপের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ নদী সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই তাদের এখান থেকে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এদের মধ্যেও একটি বড় অংশ অন্যত্র বাড়ি করে শুধুমাত্র ব্যবসার প্রয়োজনে ঢালচরে রয়ে গেছেন। ঢালচর নিয়ে লেখালেখি তো কম হয়নি। আমার নিজের লেখা অসংখ্য প্রতিবেদন রয়েছে। লিখেছেন আরও অনেকে। কিন্তু উপর মহলে এসব খবর নাড়া দেয় নি। তাই ঢালচরের মত একটি প্রাচীন দ্বীপ বিলীন হতে চলেছে।

 

 

এক দৃষ্টিতে উপকূলের দিকে তাকিয়ে দেখি, কোথাও নদীর ভাঙন, আবার কোথাও প্রবল জোয়ার আর লবণাক্ততায় ফসলহানি। ভাঙনের কারণে অসংখ্য মানুষ দিশেহারা। তারা কোথায় যায়, কীভাবে বাঁচে সে খোঁজ কে রাখে? বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়; কিন্তু যথাযথ মেরামতের কোন পদক্ষেপ নেই। বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা হয়; কিন্তু তা থাকে বসবাসের অযোগ্য। আশ্রয়ণ বা আবাসন প্রকল্পগুলো এমন স্থানে নির্মাণ করা হয়- যেখানে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের কোন সুযোগ নেই। লবণাক্ততার প্রভাবে কত মানুষ যে বিপদগ্রস্ত, তার খবর কে রাখে। যে কৃষক জমিতে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তার জমি এখন আর ফসল দেয় না। ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে লবণের বিষ। নাজুক বেড়িবাঁধ উপকূলের অনেক স্থানের মানুষকে আতঙ্কে রাখে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমি হারানো বহু মানুষকে আমি চিনি, যারা উপকূলে কোনমতে মাথা গুঁজে আছে, নতুবা পাড়ি জমিয়েছে শহরে। নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারীদের ওপরও পড়েছে বৈরি প্রকৃতির বিরূপ প্রভাব। সংকুচিত হয়েছে মাছ ধরার স্থান ও সময়। দুর্যোগের মাত্রা বাড়ার কারণে মাছধরার সময় কমেছে। সরকারের নতুন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রত্যাশা, উপকূলবাসীর সংজ্ঞার নিরিখে বাংলাদেশের দক্ষিণে সমুদ্ররেখা বরাবর ১৯ জেলা উপকূলীয় জেলা হিসাবে চিহ্নিত। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস, লবণাক্ততার প্রভাব ও জোয়ার ভাটার বিস্তৃতির ওপর ভিত্তি করে জেলাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে যশোর, নড়াইল ও গোপালগঞ্জ। পরিধি হিসাবে উপকূলীয় অঞ্চল অনেক বড় এলাকা। এখানে প্রায় ৫ কোটি লোকের বসবাস। এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরণের দুর্যোগের শিকার হয় প্রতিবছর। কর্মসংস্থানসহ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে। দুর্যোগের কারণে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মানুষের ছুটে চলার অনেক ঘটনার সাক্ষী আমি নিজেই। কিন্তু এদের পুনর্বাসনে যেসব উদ্যোগ রয়েছে, তা সীমিত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জরুরি ব্যবস্থাপনার দিকেই বেশি নজর দেওয়া হয়। বিগত বছরগুলোতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এরইমধ্যে বিশ্ব দরবারে ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছে। কিন্তু নিরবে যে নানামূখী প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলের মানুষের জীবন ওলটপালট করে দিচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে খুব কম। নদীর ভাঙন প্রতিবছর উপকূলের বহু মানুষকে পথে বসিয়ে দেয়। উপকূল থেকে বাস্তচ্যুত শহরমূখী মানুষের স্রোত  আমরা কমাতে পারিনি।

একটি বিষয় আমি বুঝি না, চারিদিকে জলরাশি বেষ্টিত উপকূলীয় দ্বীপ ভাসানচরকে এতটা নিরাপদ করা সম্ভব হলে, গোটা উপকূলকে কেন করা যাচ্ছে না? কেন আমরা উপকূলকে সুরক্ষিত রাখতে পারছি না? লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডারকে শক্ত বাঁধ দিয়ে নিরাপদ রাখতে পারলে কেন এমন নিরাপদ করা যাচ্ছে না কমলনগরকে? ভোলার ইলিশাকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হলে বাউফলের ধুলিয়ার মানুষদের কেন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করতে হচ্ছে? উপকূলে রয়েছে অফুরন্ত সম্পদ সম্ভাবনা। সে সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে হলে সুরক্ষা জরুরি। সকলের একযোগে সেই ভাবনাটা করা উচিত। 

যে দাবি আগেও জানিয়ে এসেছি; আজও একই দাবি জানাই। উপকূল সুরক্ষায় ১৭টি বিষয়ে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। দাবিগুলোর মধ্যে কিছু পুরানো দাবি আছে, আবার কিছু নতুন দাবিও রয়েছে। সমস্যা সমাধান করতে হলে সবগুলো দাবি বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করে মনে হয়েছে- এসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে দুর্যোগে নিরাপদ হতে পারে উপকূলীয় জনজীবন। বিষয়গুলো হচ্ছে:

১) জনসংখ্যা অনুপাতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে;

২) আশ্রয়কেন্দ্রের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে;

৩) আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে;

৪) আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সড়ক ভালো থাকতে হবে;

৫) সতর্ক সংকেত বিষয়ে মানুষদের আরও সচেতন করতে হবে;

৬) আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে যথাযথ সংকেত দিতে হবে;

৭) শক্ত ও উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে;

৮) মাঠ পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আরও আগে থেকে সক্রিয় হতে হবে;

৯) উৎপত্তিস্থল থেকে ঘূর্ণিঝড় সংকেত জানানো শুরু করতে হবে;

১০) উপকূলের সব মানুষকে রেডিও নেটওয়ার্ক-এর আওতায় আনতে হবে;

১১) সংবাদমাধ্যমকে সারাবছর উপকূলে নজরদারি রাখতে হবে;

১২) উপকূল অঞ্চলের দুর্যোগ রিপোর্টিংয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে;

১৩) জরুরি সময়ে দ্বীপ-চরের তথ্য আদান প্রদানে তথ্য নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে;

১৪) দুর্যোগ বিষয়ক তথ্যকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে;

১৫) নারীবান্ধব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে;

১৬) দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে; এবং

১৭) বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংকট উত্তরণে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রায় প্রতি বছরই উপকূল অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। সিডর, আইলা, রোয়ানু, মহাসেন, মোরার মতো ঘূর্ণিঝড়ের কথা আমাদের মনে আছে। সত্তরের প্রলয় এখনও আমাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ায়। আমরা জানি, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। এরপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলের মানুষ এখনও বিপর্যস্ত, বিপন্ন। সুতরাং, দুর্যোগ মেকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থার ফাঁকফোকর মেরামত করতে হবে। তা হলেই বিপদমুক্ত থাকবে উপকূলবাসী।   



ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়