স্থিরচিত্রে গণহত্যার ইতিহাস
মো. আজম খান || রাইজিংবিডি.কম
দির্ঘ ৯ মাসের মুক্তি যুদ্ধের কথা স্মরণ করতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভয়াল অনেক দৃশ্য। আমাদের মতো তরুণরা হয়তো সিনেমা, নাটক, স্থিরচিত্রের মাধ্যমে কিছুটা সেই ভয়াল অবস্থা অনুভব করতে পারেন। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা নিজেদের সাথে ঘটে যাওয়া মরা-বাঁচার লড়াই আজও উপলব্ধি করতে পারেন।
পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মমতার সাক্ষী হয়ে আছে বাংলাদেশের অনেক বধ্যভূমি। যেখানে এদেশের মুক্তিকামী মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখলে আজও জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা আঁতকে ওঠেন। আজ স্থিরচিত্রের মাধ্যমে বরিশালের কিছু গণহত্যার স্থানের সাথে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আজম খান।
ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি স্মৃতি স্তম্ভ। এটি কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত। পাক হানাদাররা এই নদীর তীরে মুক্তিযোদ্ধাদের দাঁড় করিয়ে হত্যা করতো এবং পরে নদীতে ভাসিয়ে দিত
তৎকালীন ওয়াপদা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভবন, যেটা পাক হানাদারদের মূল ঘাঁটি ছিল
ওয়াপদা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভবন। এই ভবনের রুমের মধ্যে স্থানীয় ও মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দি করে রাখা হতো এবং নির্মমভাবে অত্যাচার করত। যেখানে নারীদের একটি রুমে উলঙ্গ করে বন্দি করে রেখেছিলো পাক হানাদাররা
ওয়াপদায় অবস্থিত বাঙ্কার। পাক বাহিনীরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করত
ওয়াপদা বাঙ্কার ব্রিজ
এই রুমগুলোতেই চলতো পাকিস্তানিদের নানা অপকর্ম
লেখক: শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
বরিশাল/আজম খান/হাকিম মাহি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন