`গঙ্গার মতো তিস্তা চুক্তিতেও সফল হবেন প্রধানমন্ত্রী’
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মতো তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম' শীর্ষক কর্মশালা শেষে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের সরকারগুলো শত্রুতা করে ভারতের কাছ থেকে কিছুই আনতে পারেনি। আমরা শত্রুতা চাই না, শেখ হাসিনা বন্ধুত্বের পথে গিয়েছেন। গিয়েছেন বলেই ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও ছিটমহল বিনিময় শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
‘আমাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখেই বন্ধুত্ব সম্প্রসারিত হয়েছে। তিস্তা নিয়ে আলোচনার দ্বার বন্ধ ছিল, সেই আলোচনা হয়েছে, অগ্রগতি হয়েছে। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি যিনি করেছেন, তিনিই তিস্তা চুক্তিতেও সফল হবেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সঙ্গে সম্রাটের গ্রেপ্তারের যোগসূত্র নিয়ে বিএনপির অভিযোগকে ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে অসংবিধানিক অগণতান্ত্রিক চুক্তি আড়াল করতে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই উক্তি বিএনপির নেতিবাচক নোংরা রাজনীতি। এই নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। ক্রমেই তারা জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সাতটা সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তিনটা প্রজেক্টের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। কোথায় কোনটা অসাংবিধানিক? অগণতান্ত্রিক কিছু আছে? মির্জা ফখরুল সাহেব, এটা তথ্য-প্রমাণসহ আপনাকে দেখাতে হবে? অন্ধকারে ডিল ছুঁড়বেন না। আগে বলতেন, দেশ বিক্রি হয়ে গেছে। এখন বলছেন, সংবিধান লঙঘন হয়েছে। আগে বলতেন, গোলামির চুক্তি হয়েছে। এখন বলছেন, এই চুক্তি অসংবিধানিক। মেমোরেন্ডাম আন্ডারস্ট্যান্ডিং কোনো লিখিত চুক্তি নয়। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থেকে এটাও আপনারা ভুলে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজের দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কারো সাথে কোনো চুক্তি করেন না। দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখেই তিনি সমঝোতা ও চুক্তি করেন। বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখেন। যে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে ফিরে এসে বলেন, গঙ্গার পানি চুক্তির কথা মনে ছিল না, শেখ হাসিনা সেই প্রধানমন্ত্রী নন।’
‘আজকে যতটা হয়েছে, এতে আমরা লাভবান হচ্ছি। আমাদের জাতীয় সম্পদ ও অর্থনীতি উপকৃত হচ্ছে। ভারতের সেভেন সিস্টারে ট্রাকে করে আমাদের এখান থেকে এলপিজি যাবে, সেখানে প্রচুর আর্থিক সুবিধা আমরা পাব। ভারত যদি আজ আমাদের মংলা বন্দর ব্যবহার করে, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে, এটা বিনা পয়সায় ব্যবহার করে না। আমাদের আর্থিক সুবিধা দিয়েই তারা ব্যবহার করে’, বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি হোসেন মোহাম্মদ মুনসুরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপ-কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সবুর, অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম প্রিন্স, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মুনাব আহমেদ নুর, সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/পারভেজ/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন