চির নিদ্রায় শায়িত খোকা
মায়ের কোল আলো করে এসেছিলেন খোকা, শেষ আশ্রয়ও সেই মায়ের বুকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জুরাইন কবরস্থানে মায়ের কবরের কাছে দাফন করা হয়েছে অবিভক্ত ঢাকার শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সব আপনজন আর শুভাকাঙ্খীদের কাঁদিয়ে চিরদিনের জন্য আশ্রয় হলো মায়ের কাছে।
গাছের পাতারা সেই বেদনায় বুনো পথে যেতো ঝরে/ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো মাঠ খানি ভরে।
পথ দিয়ে যেতে গেয়ো পথিকেরা মুছিয়া যাইতো ছোখ/চরণ তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
জসিমউদ্দিনের কবর কবিতার এই লাইন গুলির মতই খোকার শোকে ধুকে ধুকে আজ যেন কেঁদে উঠেছে ঢাকার সেই সব সড়ক, সেই সব গাছ, সেই সব জায়গাগুলো, যেখানে ছিল খোকার পদ চিহ্ন, ছিল খোকার ভালোবাসা।
যেখানে তিনি দীর্ঘদিন অর্থাৎ ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন অবিভক্ত থাকাকালে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানেই শেষবারের মত বেলা পৌনে ৩টায় নেয়া হয় সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ।
প্রিয় মানুষের মরদেহ আনার পর (বর্তমান) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। নগর ভবনও যেন কাঁদছিল খোকার শোকে।
সাদেক হোসেন খোকার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দক্ষিণের মেয়র সাইদ খোকনও বলছিলেন, দলমত নির্বিশেষে তিনি সকলেরর জন্য কাজ করে গেছেন। তার আদর্শ ধারণ করে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
এর আগে নয়াপল্টনে সাদেক হোসেন খোকার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, খোকা ভাই আর আমাদের মাঝে নেই।
বেলা পৌনে ৪ টায় গোপীবাগের ধুপখোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় খোকার মরদেহ। সেখানে শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর দাফন করা হয়।
সাদেক হোসেন খোকার জন্ম ১৯৫২ সালের ১২ মে। গত ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঢাকা/সাওন/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন