ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

করোনা মোকাবিলায় ৫ দাবি

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ২৪ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনা মোকাবিলায় ৫ দাবি

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে চার বাম সংগঠন।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, খাদ্য ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুরসহ দেশের মেহনতি মানুষকে চরম সংকটের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে দাবি করে অবিলম্বে উপযুক্ত চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, রেশনিং ব্যবস্থা চালু এবং সব ধরনের ছাটাই-জোরপূর্বক অব্যাহতি ও লে-অফ বন্ধ করে সবেতন ছুটির দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট  আনোয়ার হোসেন রেজা, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএমএ সবুর, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন এবং গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট  মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার এ বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মহামারি পরিস্থিতির আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও সরকার ন্যূনতম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেনি। দেশে খোদ চিকিৎসকদেরই আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেই।  এমতাবস্থায় গণপরিবহন বন্ধ না করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।  ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রাম অভিমুখী হয়েছে। যা ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির মুখে দেশকে ঠেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শহরে কিংবা গ্রামে শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষ আজ অনিরাপদ।

এ মতাবস্থায় নেতারা সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন।  দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুরসহ মেহনতি মানুষের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।  প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিত করা। উপজেলা পর্যায়ে করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা ও আইসুলেশন ও ভেন্টিলেশন সুবিধাসহ কার্যকর করোনা ইউনিট চালু করা।

২.অবিলম্বে শহরে ও গ্রামে শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।

৩.পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার এনজিও ঋণ ও কৃষি ঋণের কিস্তি উত্তোলন বন্ধ করা। মজুর ও কৃষকদের অর্থনৈতিক ক্ষতি বিবেচনায় নিয়ে এনজিও ও কৃষি ঋুণ মওকুফ করা।

৪.অবিলম্বে বাজেট পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে করোনা মহামারি মোকাবিলায় উপযুক্ত আর্থিক বরাদ্দ প্রদান এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে শ্রমিক-কৃষকসহ নিম্নবিত্ত মানুষের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা।

৫. জরুরি আদেশ জারির মাধ্যমে করোনা মহামারিকালে সব ধরনের ছাঁটাই, টার্মিনেশন, বাধ্যতামূলক অবসর, লে-অফ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। কারখানায় শ্রমিকদের সবেতন ছুটি প্রদান করা।

 

হাসনাত/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়