ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চাকরি প্রতারণায় সর্বহারা রিফাদ (ভিডিও)

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০১, ১৮ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চাকরি প্রতারণায় সর্বহারা রিফাদ (ভিডিও)

ভুয়া নিয়োগপত্র ও প্রতারক আ. গণি

এম এ রহমান মাসুম: হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকায় কেনা নিয়োগপত্র। নাম রিফাদ হোসেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন ‘অফিস সহায়ক’ পদ। এসেছেন মাদারীপুর থেকে। চোখে রঙিন স্বপ্ন।

জমি ও নিজের দোকান বিক্রি করে মিলেছে এই কাঙ্খিত চাকরি। নিয়োগপত্রের ঠিক ওপরে ডানপাশে লেখা আছে- ১৭ আগস্টের মধ্যে যোগদান করতে হবে। নিয়োগপত্রে উপরে, নীচে ডানে কিংবা বাম পাশে যেখানে জায়গা পেয়েছে সেখানে দেয়া হয়েছে কমিশনার, যু্গ্ম কমিশনার থেকে শুরু করে এনবিআর চেয়ারম্যান ও বড় বড় কর্তার সইসহ সিল।

নিয়োগপত্র নিয়ে এনবিআরে হাসতে হাসতে যোগদান করতে এসে অবশেষে বুঝতে পারলেন কত দুর্ভাগা তিনি। কারণ, প্রতারকচক্র এতোদিন যত কাগজপত্র দিয়েছে তাকে সবই জাল। বড় একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন রিফাদ।

প্রতারণার শিকার রিফাদ

প্রতারক আ. গণি: নিজেকে কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। বাড়ি নোয়াখালী। পাসপোর্ট সূত্র জানা যায়, বাবার নাম আবদুল হালিম। রিফাদের দোকান থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে আ. গণির পরিচয়। রিফাদের সঙ্গে সখ্য হলেও এই পরিচয় ছাড়া বিস্তারিত জানেন না রিফাদ কিংবা তার আত্মীয় স্বজন। গণি এখন পলাতক। তার মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ আছে। এছাড়া প্রতারক চক্রের আরো একজন গণির কথিত ভায়রা জাফর আছেন বলে অভিযোগ করেন রিফাদ। ফোনে চেষ্টা করে তাকেও পাওয়া যায়নি।

রিফাদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি জমি ও দোকান বিক্রি করে অফিস সহায়ক পদে চাকুরির জন্য আ. গনিকে ৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু আজ এখানে এসে জানতে পারলাম সকল কাগজপত্রই ভুয়া। থানায় জিডি করেছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।' 

রিফাদ হোসেনের পক্ষে তার খালা লাভলী রাজধানীর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরিতে মো. আবদুল গনির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে বলেছেন, রিফাদকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নগদ ৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। গত ১৫ জুন একটি ভুয়া নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে। যা বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ নেওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে সবই জাল। এরপর ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় বিবাদি আ. গনির খিলগাঁওয়ের বাসায় গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখান।

এই প্রতারণার বিষয়ে এনবিআরের প্রথম সচিব (বোর্ড প্রশাসন) মোস্তফা কামরুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তাদের কাছে থাকা সকল নথিপত্রই জাল। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমি তাদেরকে থানা বা আদালতের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুলাই ২০১৯/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়