ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দিন যায় হতাশা বাড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগে

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৭ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দিন যায় হতাশা বাড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগে

এসকে রেজা পারভেজ : কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদোত্তীর্ন হয়েছে চার বছর আগে। আর ঢাকা মহানগর কমিটির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে একযুগ আগে। ২৫ বছরের রজত জয়ন্তীতে এসে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কবে কমিটি হবে, সেটিই এখন তাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

২০১২ সালে ১১ জুলাই সর্বশেষ সম্মেলন হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের। ওই সম্মেলনে সভাপতির দায়িত্ব পান মোল্লা মো. আবু কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান পঙ্কজ দেবনাথ।

নেতাকর্মীরা বলছেন, নতুন সম্মেলনের আশায় হতাশ হয়ে এখন অনেকেই রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে সংগঠনে। এক সময়ের তেজি সংগঠন হিসেবে তকমা পাওয়া স্বেচ্ছসেবক লীগ এখন অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের তুলনায় দুর্বল সাংগঠনিক রূপ পেয়েছে। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভও দানা বেধেছে নেতাকর্মীদের মাঝে। তারা তাকিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দিকে।

সংগঠনের এক মধ্যম সারির নেতা সময়মতো কমিটি না হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন তাহলে স্বেচ্ছাসেবক লীগে যারা রাজনীতি করছেন তাদের বেশিরভাগই ছাত্র রাজনীতি থেকে এসেছেন। কারণ ছাত্র রাজনীতি থেকে সাবেক হয়ে যাওয়ার পরই এই প্লাটফর্মটি তারা বেছে নেন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার জন্য। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনের কমিটি সময় মতো না হওয়ায় হতাশ হয়ে যাচ্ছে বড় একটি অংশ। নতুন কমিটি না হওয়ায় তাদের জন্য নেতৃত্বে আসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। এতে রাজনীতিতে সম্ভাবনাময় নতুন নেতৃত্ব আসছে না এখান থেকে। আর সর্বোপরি আশাহত হয়ে নেতাকর্মীদের নিস্ক্রিয়তা  সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে সংগঠনকে।’

এদিকে মুল কমিটির থেকে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটি। এই কমিটির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিলো ২০০৬ সালে। ১৩ বছর আগে ত্রি-বার্ষিক ওই সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তরের দায়িত্ব পান মোবাশ্বের চৌধুরী। আর ফরিদুর রহমান খান ইরান নির্বাচিত হন সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন দেবাশীষ বিশ্বাস, আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন আরিফুর রহমান টিটু।

কিন্তু দীর্ঘদিন মহানগরে কমিটি না হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপুর্ণ এই অংশেরও কার্যক্রমও ঝিমিয়ে পড়েছে। আশাহত নেতাকর্মীরাও ঠিকমতো দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না। অন্তর্কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ভেঙে পড়ার উপক্রম চেইন ইন কমান্ড। একযুগ আগের সেই কমিটি এখনও অনেক থানায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সম্মেলনের দাবি জানাচ্ছে নেতাকর্মীরা। 

সম্ভাব্য কাউন্সিল নিয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার রাইজিংবিডিকে বলেন, এখন কাউন্সিল নিয়ে চিন্তা ভাবনা নেই। সময় হলে কাউন্সিল হবে। সংগঠনের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো। নেতাকর্মীরা সংগঠনের রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা) যখন চাইবে তখনই কাউন্সিল হবে। আমাদের যে কোনো সময়ে কাউন্সিল করার প্রস্তুতি রয়েছে।  


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৯/রেজা/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়