ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মাঠে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত জিম্বাবুয়ে

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাঠে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত জিম্বাবুয়ে

অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ে প্রায় একই বিন্দুতে অবস্থান করছে। একঝাঁক তরুণ ও প্রতিভাবানের সঙ্গে একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার।

সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রয়েছেন এক প্রান্তে। জিম্বাবুয়ে শিবিরে মাসাকাদজা, টেলর, উইলিয়াস, আরভিন। আফগানিস্তানে নবী, আসগর, রশিদ খান।

তরুণদের মধ্যে বাংলাদেশ শিবিরে সাব্বির, মুস্তাফিজ, মোসাদ্দেকের সঙ্গে মাত্রই ক্যারিয়ার শুরু করা সাইফউদ্দিন ও আফিফ। আর জিম্বাবুয়ে দলে আছেন জারভিস, চাতারা, রায়ান বার্ল, মুতোমবোডজি ও এনসিলে এনলোভু। আফগানিস্তানে রহমানউল্লাহ গুলবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, মুজিব উর রহমান।

অভিজ্ঞতায় প্রায় একই বিন্দুতে অবস্থান করলেও মাঠের ক্রিকেটে তিন দলের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে সিনিয়র ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স। ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সিনিয়র ক্রিকেটাররা একেবারেই ‘আউট অব ফর্ম’। আফগানিস্তানের সিনিয়ররা অসাধারণ, অনবদ্য। বাংলাদেশ এখানে পিছিয়ে অনেকটা।

তরুণরা পারফর্ম করলেও বড়দের থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় জয়ের মুখ দেখেনি জিম্বাবুয়ে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলতে হলে শেষ দুই ম্যাচে জয় পেতেই হবে। দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতেন চান শন উইলিয়ামস।

‘সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে আমরা দলের মেরুদণ্ড। আমাদের দায়িত্ব ওদেরকে শেখানো। পাশাপাশি আমাদের কয়েকজনও এখনো প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারিনি। সিনিয়র গ্রুপ হিসেবে আমাদেরও নিজেদের মেলে ধরতে হবে। জুনিয়রদের সামনে অনুসরণীয় কিছু করতে হবে। তারা দুইবার আমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে। সিনিয়ররা যদি এখন এগিয়ে আসতে পারি, ক্রেইগ, আমি, ব্রেন্ডন.. আমরা এগিয়ে আসতে পারলে আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে।’

উইলিয়ামস বিশ্বাস করেন, তাদের দলের সামর্থ্য আছে ভালো কিছু করার। দুই ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে সূক্ষ্ম ভুলের বড় সমাধান চান ৩২ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার।

‘আমরা যদি মৌলিক দিকগুলো ঠিকঠাক করতে পারি… যেমন ফিল্ডিং, কিছু সূক্ষ্ম ব্যাপার আছে, সেগুলো যদি ঠিকঠাক করতে পারি, দুটি ম্যাচ জয়েরই ভালো সম্ভাবনা আছে আমাদের। খেলাটায় পার্থক্য গড়ে সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলি। আগের দুটি ম্যাচেই আমরা উভয় দলকে কঠিন সময় দিয়েছি, শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়েছি। সামনের ম্যাচগুলোতে যদি আমরা মাঠে সিদ্ধান্তগুলো সময়মতো নিতে পারি তাহলে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা থাকবে। অসম্ভব কিছুই নয়। আমরা মাঠে নেমে সর্বোচ্চটা উজার করে দেব।’

মঙ্গলবার চট্টগ্রামে কড়া রোদ মাথায় নিয়ে অনুশীলন করেছে জিম্বাবুয়ে। এই মাঠে বুধবার তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক দল।  বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দারুণ লড়াই করেছিল তারা। কিন্তু ‘পুঁচকে’ আফিফের ব্যাটে শেষ হাসিটা তারা হাসতে পারেনি।  দেয়ালে তাদের পিঠ ঠেকে গেছে। ফাইনালে যেতে হলে তাদের জয় লাগবেই। বাংলাদেশকে হারিয়ে টিকে থাকতে চায় সেই লড়াইয়ে। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বাগতিক দলকে উইলিয়ামস সমীহ করছেন বেশ।

‘বাংলাদেশ খুব ভালো অলরাউন্ড দল। তাদের অবকাঠামো খুব ভালো, যেটি ছড়িয়ে ক্লাব পর্যায় পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে। ওদের দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক…ওরা সবাই খুব ভালো ক্রিকেটার। সেটিকে আমরা সমীহ করি। কোনো ম্যাচই আমরা হালকাভাবে নেব না। আমরা নিজেদের কাজে মনোযোগ দিতে চাই, নিজেদের কাজগুলো করতে চাই নিজেদের জন্য।’

‘অবশ্যই ওদের দলে বড় কিছু নাম আছে। তবে বোলিংয়ের সময় কোনো নামকে বোলিং করি না আমরা, নিজের পরিকল্পনা অনুসরণ করে সেটিকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। অবশ্যই বাউন্ডারি না দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ওদের মতো ক্রিকেটারের বিপক্ষে ফিল্ডিং দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। ওদেরকে যদি বাউন্ডারি থেকে বিরত রাখা যায়, তাহলে চাপ সৃষ্টি হয়। আমি জানি ওরা শট খেলতে পছন্দ করে, জানি ওরা আমাদের আগ্রাসী খেলতে চেষ্টা করবে। চ্যালেঞ্জটি তাই হবে দুর্দান্ত’- বলেছেন উইলিয়ামস।


চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়