ভাষাগত সমস্যা দেখেন না ডমিঙ্গো
বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার ইংরেজি বোঝেন না! বিপিএলে সিলেট থান্ডারের কোচ হয়ে আসা হার্শেল গিবস ভাষার দূরত্বের কথা গণমাধ্যমে বলেছিলেন। পাশাপাশি তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, স্বদেশী রাসেল ডমিঙ্গো ও নীল ম্যাকেঞ্জির কথা ক্রিকেটাররা বুঝতে পারেন কি না!
দক্ষিণ আফ্রিকান ডমিঙ্গো বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছেন। ম্যাকেঞ্জি কাজ করছেন ব্যাটিং কোচ হিসেবে। অনেক দিন হলো তারা যুক্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে। ভাষাগত দূরত্বের কথা কখনো গণমাধ্যমে আনেননি তারা। আবার এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতেও চাওয়া হয়নি।
রোববার পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ডমিঙ্গো। তার কাছেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ভাষাগত দূরত্ব ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সমস্যা করছে কি না। জানানো হয়েছিল গিবসের শঙ্কার কথাও! গিবসের ‘অভিযোগ’ শুনে রীতিমতো অবাকই হন ডমিঙ্গো। জানালেন, ভাষাগত দূরত্ব কোনো সমস্যাই করছে না।
তার ভাষ্য, ‘আমি মোটেও অনুভব করি না আমাদের মধ্যে ভাষাগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওটা গিবসের মত। সে কী বলল, তা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে রাজি নই। আমি আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি। যদি কখনো অনুভব করি আমার বার্তা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না, তাহলে রাবীদ আছে (বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার), সাব্বির আছে (জাতীয় দলের ম্যানেজার) তাদের সাহায্য নিই। তারা ওদেরকে ঠিকমতো সবই বুঝিয়ে দেয়।’
বিপিএল চলাকালে সিলেটে হার্শেল গিবস খেলোয়াড়দের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘স্থানীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হলো, তাদের অনেকেই ইংরেজি বোঝে না। আমার জন্য তাই তাদেরকে অনেক কিছুই বোঝানো কঠিন। এটি খুবই হতাশার। আমি যখন কথা বলি, দেখি যে তারা শুনছে। কিন্তু দেখেই বুঝতে পারছি যে, এসব তাদের মাথায় ঢুকছে না। অনুধাবন করতে পারছে না।’
শুধু ডমিঙ্গো নন, বিপিএলে কাজ করা বিদেশি কোচ মার্ক ও’ডনেল, জেমস ফস্টর; প্রত্যেকেই জানিয়েছিলেন ভাষাগত দূরত্ব তাদের মাঠে ক্রিকেটে কোনো সমস্যা করেনি। প্রত্যেকেই বলেছিলেন, ক্রিকেটের আলাদা ভাষা আছে। সেটা দিয়ে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়।
ঢাকা/ইয়াসিন/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন