ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পজিশন হারাতে চান না মতিন মিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পজিশন হারাতে চান না মতিন মিয়া

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। যেটার উপর নির্ভর করছিল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের টিকে থাকা। জিতলে সেমিফাইনালে। হারলে ঘরের মাঠে দর্শক বনে যাওয়া। তবে হতাশ করেননি মতিন মিয়া ও ইব্রাহিমরা। শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জোড়া গোল করে মোস্ট ভ্যালুয়াবল প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন মতিন মিয়া। জাতীয় দলের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলা মতিন অবশ্য সেরা একাদশে খুব একটা সুযোগ পাননি। আজসহ মোট তিনবার তিনি সেরা একাদশে মাঠে নামলেন। তৃতীয় ম্যাচেই করলেন বাজিমাত। জোড়া গোল করে বাংলাদেশকে তুললেন সেমিফাইনালে।

অবশ্য অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন তার পজিশনে খেলেন। সে কারণে সেরা একাদশে খুব একটা সুযোগ পান না। জীবন ইনজুরিতে পড়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেরা একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে সুবিধা করতে না পারলেও আজ জ্বলে উঠেছেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন তার পজিশনটা হারাতে চান না। কঠোর পরিশ্রম করে ধরে রাখতে চান, ‘জাতীয় দলের হয়ে আমি ১০টির মতো ম্যাচ খেলেছি। এ নিয়ে তিন ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়েছি। বাকি সাতটিতে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমেছিলাম। প্রথম সেরা একাদশে খেলি লাওসের বিপক্ষে। এরপর ফিলিস্তিন। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ভালো লাগছে প্রথমবার জাতীয় দলের হয়ে গোল করতে পেরেছি। জোড়া গোল করতে পারায় আরো ভালো লাগছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে দেশকে কিছু দিতে পারলাম। আমার গোলে ভর করে দল সেমিফাইনালে উঠেছে। আমি নিয়মিত খেলার সুযোগ পেতাম না। খারাপ লাগত। এবার যেহেতু সুযোগ পেয়েছি এবং গোল করেছি, চেষ্টা করব পজিশনটা ধরে রাখতে। প্রয়োজনে কঠোর পরিশ্রম করব।’

মাহবুবুর রহমান সুফিল ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘরোয়া লিগে একই ক্লাবের হয়ে খেলেন মতিন। সে কারণে তাদের মধ্যে বোঝাপোড়াটা দারুণ। সেটি আজ বেশ কাজে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রং মিস্ত্রী থেকে ফুটবলার হয়ে ওঠা মতিন, ‘হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে বোঝাপোড়াটা দারুণ। সেটি আজ বেশ কাজে লেগেছে।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল মতিনের। তারা মাঠে নামার আগে ড্রেসিং রুমে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলার বিষয়ে কথা বলে নেমেছেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল যে পারব। ড্রেসিং রুমে আমরা নিজেদের শতভাগ দিয়ে খেলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। গোল খাওয়া যাবে না।’

মতিন ক্লাব ফুটবলে রাইট উইংয়ে খেলেন। তার মতে রাইট উইং আর ফরোয়ার্ডে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না।


ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়