নাঈমের টানা ৩২ ওভারের স্পেল ও ৪ উইকেটের রহস্য

৩২ ওভারের বোলিং স্পেল। কল্পনা করা যায়!

অথচ তাই করে দেখিয়েছেন নাঈম হাসান। ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিন ৩৬ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন নাঈম। যা আজ সারাদিনে বাংলাদেশের মোট বোলিংয়ের ৪০ শতাংশ। দুই স্পেলে ছিল তার বোলিং আক্রমণ। প্রথম স্পেলেই করেছেন ৩২ ওভার। শেষ স্পেলে ওভার ছিল ৪টি।

একটানা ৩২ ওভার করা শুধু কঠিনই নয়, রীতিমতো কষ্টসাধ্য। কিন্তু দলের হয়ে কাজটা করতে বিন্দুমাত্র পিছুপা হননি নাঈম। চট্টগ্রামের এ তরুণ টানা বোলিংয়ে সাফল্যও পেয়েছেন। প্রথম স্পেলে পেয়েছেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় স্পেলে ৪ ওভারে হাত ঘুরিয়ে পেয়েছেন আরও ১টি। প্রথম দিন মোট ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা তারকা ডানহাতি স্পিনার। 

দৃঢ়চেতা মনোভাব, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ধৈর্য্য নাঈমকে করে তুলেছে অসাধারণ। সাফল্যের পেছনে রয়েছে নিরলস পরিশ্রমের গল্প। কিভাবে পারলেন টানা ৩২ ওভার হাত ঘোরাতে?

নাঈমের সহজ উত্তর, ‘অভ্যাসটা আমার জাতীয় লিগ থেকেই আছে। ওখানে আমি লম্বা স্পেল বোলিং করেছি। লম্বা স্পেলে ধৈর্য্য ধরে এক জায়গায় বোলিং করলে সাফল্য পাওয়া যায়।’

সত্যিই তাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে এভাবেই নিজেকে তৈরি করেছেন নাঈম। বিসিএলের এক ম্যাচে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের হয়ে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের বিপক্ষে টানা ৩৪ ওভার বোলিং করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একদিনে একজন বোলার সর্বোচ্চ ৪৫ ওভার বোলিং করতে পারেন। সেখানে টানা ৩৪ ওভার বোলিং করা নিঃসন্দেহে বড় সাহস।

বড় মঞ্চে পারফর্ম করতে নাঈম এভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেই। শুধু একবার দুবার নয়, শেষ দুই বিসিএলের ম্যাচে নাঈম করেছেন মোট ১২৯.৫ ওভার, উইকেট পেয়েছেন ২১টি। আজ মিরপুরে তার শিকার জিম্বাবুয়ের সেরা তিন ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর, সিকান্দার রাজা ও সেঞ্চুরিয়ান ক্রেইগ আরভিন। সাথে পকেটে পুরেছেন মাসভাউরির উইকেট।  

নিজের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে বলেছেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল শুধু এক জায়গায় বোলিং করা। স্পিনারদের বৈচিত্র্যর দরকার। আমরা চেষ্টা করি একটা জায়গায় বেশিক্ষণ বোলিং করা ও রান কম দেওয়া।’

উইকেটে আহামরি কিছু ছিল না। বল টার্নও হয়নি। ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন স্পিনারদের। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেন্থে বোলিং করায় নাঈম হয়েছেন দিনের সেরা বোলার।

 

ঢাকা/ইয়াসিন/কামরুল