জীবনের অন্যতম সেরা স্বীকৃতি: রকিবুল
নিজের বায়োপিক নির্মাণকে জীবনের অন্যতম সেরা স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান। তিনি মনে করেন, তাঁর বায়োপিক নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বায়োপিক নির্মাণের যে সংস্কৃতি শুরু হল তা আরো লম্বা হবে।
সেই তালিকায় একদিন উঠে আসবে আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানদের নাম। নাম ঠিক না হওয়া এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করছেন ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। এটি নির্মাণ করবেন পরিচালক বান্টি আফজাল।
রাইজিংবিডিকে রকিবুল হাসান বলেছেন, ‘আমি বেশ উৎফুল্ল, উচ্ছ্বসিত। এটা জীবনের অন্যতম একটি স্বীকৃতি। আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি শুরু হচ্ছে। আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই।’
‘আমি মনে করি অত্যন্ত সফল একজনের গল্প এভাবেই তুলে আনা উচিত। সিনেমার মাধ্যমে অনেক গল্প প্রকাশ করা যায়। গল্প মুখে শোনা আর গল্প পর্দায় দেখার মধ্যে পার্থক্য থাকে। নিজের চোখে দেখলে অনেক কিছু মনে থাকে।’ – যোগ করেন তিনি।
রকিবুল বিশ্বাস করেন, ‘সামনে আরো সিনেমা নির্মাণ হবে। আকরাম, দূর্জয়, মাশরাফি, সাকিব, আশরাফুল তাদের গল্প কেউ না কেউ নির্মাণ করবে।’
ক্রিকেটার রকিবুল হাসান ১৯৭৯ এর আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের টেস্ট দলে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। তার দু‘বছর পর ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় কমনওয়েলথ একাদশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করেন। সেদিন তার ব্যাটে ছিলো একটি স্টিকার, বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে দু‘টি শব্দ- ‘জয় বাংলা’।
টেস্ট ক্যারিয়ার গড়তে না পেরে রকিবুল মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ক্রিকেটের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। মাঠের মানুষ রকিবুল এখনও যুক্ত ক্রিকেটের সঙ্গে। ম্যাচ রেফারি হিসেবে যুক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)।
ঢাকা/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন